পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০’ বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, তা আরও নিরীক্ষা করে দেখবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সভাপতি ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গতকাল বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রামের মর্যাদা সংক্রান্ত ২টি আলাদা রিভিউ আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানির সময় এ কথা বলেন।
সর্বোচ্চ আদালত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০’- কে সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও কার্যকর হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের পুনরায় শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতের কাছে সময় চাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট মুলতবি আদেশ দেন।
রিভিউ আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকরা বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিদেশি অভিবাসীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০’ জারি করেছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে ১৯০০ সালের ১ মে থেকে এই শাসনবিধি কার্যকর হয়।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়। এরপর থেকেই জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমার) নেতৃত্বে এই সংস্থাটি কাজ করছে।
রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ওয়াগ্গাছড়া এস্টেট লিমিটেড নামের ২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কয়েক বছর আগে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০’-কে ‘মৃত আইন’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা আপিলের পর, আপিল বিভাগ ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০’- কে সাংবিধানিকভাবে বৈধ এবং কার্যকর ঘোষণা করে।
তথ্যসূত্র : দি ডেইলি স্টার