লক্ষ্মীছড়ি॥ খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে দুই নিরীহ গ্রামবাসীকে গ্রেফতারের পর তাদের হাতে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি অঞ্চলের সংগঠক সচিব চাকমা আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উক্ত গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

কপিরাইট বাংলাপিডিয়া
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল লক্ষ্মীছড়ি সদর থেকে আনুমানিক তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রাঙ্গ্যামাছড়া গ্রামে গিয়ে বিজয় কুমার চাকমার ছেলে সুমন্ত চাকমা (১৮) ও রসিক মোহন চাকমার ছেলে দীপংকর চাকমাকে (২২) তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের হাতে অস্ত্র ও গুলি গুঁজে দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে গ্রেফতারের সময় তাদের হাতে কোন অস্ত্র ছিল না। তাদের ধারণা কয়েক মাস আগে গুইমারায় সেনাবাহিনীর কাছে জেএসএস সংস্কারবাদী দলের এক সদস্যের জমা দেয়া অস্ত্র ও গুলি গ্রেফতারকৃতদের হাতে গুঁজে দেয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পনকারী উক্ত সংস্কারবাদী সদস্যটির নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে সে মহালছড়ির সংস্কারবাদী আস্তানা থেকে সেনাবাহিনীর কাছে পালিয়ে গেলেও সেনারা সে সময় তার আত্মসমর্পনের খবর প্রচার করেনি।
গতকালের গ্রেফতার অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর সাথে একই গ্রামের সূর্যসেন চাকমার ছেলে ললিত চাকমা (৩৪) ও দুল্যাতলি ইউনিয়নের নভাঙা মুখ পাড়ার বাসিন্দা ঝেদেরা মারমা (৩৫) ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে ইউপিডিএফ নেতা জানিয়েছেন।
এদের মধ্যে প্রথমজন এক সময় জেএসএস সংস্কারবাদী গ্রুপের সাথে জড়িত থাকলেও পরে ইউপিডিএফের সাথে বোঝাপড়া করে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। অপরজন সেনাবাহিনীর মালামাল বহনকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। তারা দু’ জনে আর্মিদের গাইড করে রাঙ্গ্যামা ছড়ায় নিয়ে যায়।
রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গ্রেফতারকৃতদেরকে ইউপিডিএফের সদস্য বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে তারা সাধারণ গ্রামবাসী এবং তারা ইউপিডিএফের সাথে কোনভাবে জড়িত নয় বলে সচিব চাকমা বিবৃতিতে দৃঢ়ভাবে দাবি করেন।
সুমন্ত চাকমা ও দীপংকর চাকমা এলাকায় কারো সাথে ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গ্রেফতার হতে পারেন মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা উক্ত গ্রেফতারের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে অবিলম্বে আটককৃত নিরীহ দুই যুবককে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।