টেকনাফে শ্লীলতাহানির বাধা দেয়ায় চাকমা সম্প্রদায়ের ৩ জনকে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হরিখোলা এলাকায় মেয়ের শ্লীলতাহানির বাধা দেয়ায় চাকমা সম্প্রদায়ের তিন জনকে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহতদের মধ্যে চাকেচিং চাকমা বর্তমান কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২১) সন্ধ্যা ৬টার সময় হরিখোলা শ্মশান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- হরিখোলা গ্রামের চাকেচিং চাকমা, তার স্বামী মংলাচিং চাকমা ও পিতা উক্যথাইন চাকমা।

উক্ত ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে চার দুর্বৃত্তকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গতকাল চাকেচিং চাকমা তার স্বামী ও পিতার সাথে খালে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরতে ধরতে সন্ধ্যা হয়ে আসায় চাকেচিং চাকমাকে তার স্বামী ভাত রান্না করার জন্য তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িটি অদূরে হওয়ায় চাকেচিং একা একা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় পথিমধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এতে তাঁর চিৎকারের শব্দ শুনে পিতা উক্যথাইন চাকমা ও স্বামী মংলাচিং চাকমা তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তিন জনকে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

পরে তাদের আর্তচিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন জড়ো হয়ে হামলাকারী চার দুর্বৃত্তকে ধরে ফেলে। বাকী আরো কয়েকজন পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী দুর্বৃত্তরা মোট আটজন ছিল। তাদের মধ্যে যে চারজন ধরা পড়েছে এরা হল- সুজিত বড়ুয়া, সিরাজুল ইসলাম (মোস্তফা), সোহেল ও কালু। স্থানীয়রা পরে এদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

দূর্বৃত্তরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় বর্তমান হরিখোলা এলাকায় বসবাসরত চাকমা সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনা জের ধরে বড় কোন অনাকাঙ্গিত ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

Soyta Ong এর ফেসবুক পোস্ট থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *