খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের তিন মাইল স্থানে পুলিশ জঙ্গল থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন চম্পাঘাট নিবাসী হরিশংকর ত্রিপুরার সহধর্মীনি প্রীতি রাণী ত্রিপুরা (২৮) বলে মৃত ব্যক্তিটির পরিচয় জানা যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রীতি রাণী ত্রিপুরা ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তার স্বামী হরিশংকর ত্রিপুরা ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
লাশ পাওয়ার পর তার স্বামী খাগড়াছড়ি সদর থানায় ২৩ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর হচ্ছে ১১। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মোহাম্মদ রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ তিনজন সেটেলারকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন- পানছড়ি উপজেলার কলোনী পাড়া নিবাসী বাহার মিয়ার ছেলে আসাদুল ইসলাম রাসেল (২২); উক্ত উপজেলার সান্তাল পাড়া নিবাসী তারা মিয়ার ছেলে আল-আমিন (১৯) ও একই উপজেলার দমদম এলাকার নিবাসী আব্দুল বারেকের ছেলে কামাল হোসেন (২৩)। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এরাই প্রীতি রাণী ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।
প্রীতি রাণী ত্রিপুরার ফোন কলের তালিকা অনুসরণ করে পুলিশ উক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত অপরাধীদের কোর্ট দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।