রাঙামাটি : রাঙামাটি সদর উপজেলার কুদুকছড়ি আবাসিক গ্রাম থেকে আজ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বৃহত্তর বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা সভাপতি কুনেন্টু চাকমাকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। উক্ত গ্রেফতারের ঘটনায় পিসিপি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং অবিলম্বে কুনেন্টু চাকমার মুক্তি দাবি করেছে।
জানা যায়, আজ বিকাল ৩টার সময় একটি সাদা মাইক্রোবাসে গিয়ে একদল সেনা সদস্য আবাসিক গ্রামে হানা দেয়। এ সময় সেনারা কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই সেখানে সাংগঠনিক কাজে অবস্থানরত পিসিপি নেতা কুনেন্টু চাকমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি বিপুল চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুনয়ন চাকমা সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে কুনেন্টু চাকমাকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে সেনাবাহিনী অন্যায়ভাবে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করছে । তারা বলেন, কারোর বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা থাকলে সেটা দেখার জন্য আইন-আদালত পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। কিন্তু সাদা পোশাকে গিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ফিল্মী স্টাইলে সেনাবাহিনী প্রমোশন বাণিজ্যের জন্য অন্যায়ভাবে কোন নাগরিককে গ্রেফতার করতে পারে না।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অগণতান্ত্রিকভাবে অঘোষিত সেনা শাসন জারি রাখা হয়েছে। এই অগণতান্ত্রিক সেনা শাসনকে জায়েজ করার জন্য সেনাবাহিনীর পাকিস্তানপন্থী একটা অংশ বরাবরের মতই নিরপরাধ নাগরিকদের গ্রেফতার, রাতের আঁধারে অস্ত্র উদ্ধারের নামে সাধারণ নাগরিকের ঘর বাড়ি তল্লাশিসহ নানা হয়রানি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমাকে গ্রেফতার তারই ইঙ্গিত দেয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে এভাবে অন্যায় ধরপাকড়, নির্যাতন-নিপীড়ন চলতে থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্খিত যেকোন পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দেন।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ছাত্রনেতা কুনেন্টু চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।