সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা: পাহাড়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে ধ্বংসের মূখে ঠেলে দেবে

অফিস-আদালত, শিল্পকারখানা সবকিছু সচল রেখে সরকারের আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা পাহাড়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে ধ্বংসের মূখে ঠেলে দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আজ শনিবার (২২ জানুয়ারি ২০২২) সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর সভাপতি সুনয়ন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা।

বিবৃতিতে তারা সরকারের এই ঘোষণা অবিলম্বে বাতিল করে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

পিসিপি’র নেতৃদ্বয় বলেন, বিগত সময়ে সরকারের ঘোষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও লকডাউনের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়েছে, অসংখ্য শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ে অসংখ্য পাহাড়ি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা জীবিকার তাগিদে এলাকা ছেড়ে শহরে কল-কারখানাসহ বিভিন্নস্থানে গিয়ে কাজ করছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অনাগ্রহী হয়েছেন। প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও সেসকল শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে আর ফিরে আসেনি। কাজেই সরকারের আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা পাহাড়ে শিক্ষা জীবনকে আরো বিপন্ন করবে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস নেওয়া। কিন্তু পাহাড়ে অনেক দুর্গম এলাকায় এখনো ঠিকমত নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তাছাড়া, দারিদ্রতার কারণে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদের স্মার্টফোন কিনে দেয়ার মত সামর্থ্য রাখেন না। এমতাবস্থায় সেখানকার শিক্ষার্থীরা কিভাবে অনলাইন ক্লাস করবে?

নেতৃদ্বয় সরকারকে সমালোচনা করে বলেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যতিত দেশের সকল কিছু খোলা রেখেছে। তাহলে করোনা কী শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমিত হয়? দেশের মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেমন সকল কিছু খোলা রাখা প্রয়োজন, তেমনি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখা জরুরি।

বিবৃতিতে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *