মানিকছড়িতে কৃষকের ধানকাটায় ইউপিডিএফের সহায়তা

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা গরীব কৃষকের ধানকাটায় স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সহযোগিতা করেছে।

গত ১০ মে থেকে ১৩ মে পযন্ত চার দিন ধরে ইউপিডিএফ সংগঠক চিনু মারমার নেতৃত্বে ধানকাটায় সহায়তা দেয়া হয়। ইউপিডিএফের ১৭ জন নেতাকর্মী ছাড়াও ৬ জন বাঙালি এবং ৩০ জন সাধারণ ছাত্রছাত্রীও পার্টির আহ্বানে এতে অংশ নেন।

গত চার দিনে তারা মনাধন পাড়ার ইত্তুক্যা চাকমার আড়াই কানি, ওয়াকছড়ির কংঞ্যা মারমার এক কানি, মংসা মারমার এক কানি, অংগ্যজাই মারমার দুই কানি, হ্লাম্রাচাং মারমার এক কানি, রিম্রাচং মারমার এক কানি , সুইচাউ মারমার আড়াই কানি, হাপছড়ি গ্রামের (গুইমারা উপজেলা) উষাজাই মারমার দুই কানি, আলুমং মারমার দেড় কানি, রুইচাই মারমার এক কানি জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়।

জনগণকে সেবা করার সাধারণ কর্মসুচির অংশ হিসেবে ধানকাটায় সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে ইউপিডিএফ নেতা চিনু মারমা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিবছর বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের কর্মসুচি নিয়ে থাকে। এটা নতুন কিছু নয়। কারণ ইউপিডিএফ হলো জনগণের পার্টি।
তিনি আরও বলেন, একটি বিশেষ মহল চায় না আমরা জনগণের কাজে সহায়তা দিই, জনগণের সেবা করি। সেজন্য আমাদের কর্মসুচির খবর জানতে পেরে সেনারা তৎপর হয় এবং আমাদেরকে ধরার জন্য লোকেশনটা খোঁজ করে।

‘এ কারণে আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে ধানকাটায় সহায়তা দেয়ার কাজ অসম্পূ্র্ণ রেখে গতকাল শেষ করতে বাধ্য হয়েছি। তা না হলে আরও কয়েকদিন আমরা এটা চালিয়ে  নিতাম। আর এতে আরও অনেক গরীব কৃষক উপকৃত হতো।’

চিনু মারমা জানান, আজ সেনারা বিশাখা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় এবং সেখানে থেকে লাবেদং পাড়ার কার্বারী অংগ্য কারবারীকে ফোনে প্রশ্ন করে তার (অংগ্য কার্বারী) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কিনা।
সেনারা তাকে আরও জিজ্ঞেস করে ইউপিডিএফ তাদের গ্রামের লোকজনের ধান কেটে দিয়েছে কিনা।
অংগ্য কার্বারী মামলার ভয় পান না বলে আর্মিকে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘মামলা হলে হবে, কী অইছে?’ এরপর আর্মিরা চলে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *