বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফ’র সাবেক সংগঠক জেলাস চাকমা (৫০) মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হেপাটাইটিস বি জনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন।
দীর্ঘ রোগভোগের পর আজ ১ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার ভোররাত ৩:৫৯টার সময় খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়াস্থ নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার স্ত্রী দীপনা চাকমা নিশ্চিত করেছেন।
তাঁর অকাল মৃত্যুতে ইউপিডিএফ, পিসিপিসহ বিভিন্ন জন শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রয়াত জেলাস চাকমা খাগড়াছড়িরি দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের নুনছড়ি সুরসেন মেম্বার পাড়ার মৃত বিমলানন্দ চাকমা ও মাতা মন্দাকিনি চাকমার সাত সন্তানের মধ্যে চতুর্থ সন্তান ছিলেন। তিনি ১৯৯৯ সালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি ও ২০০২-২০০৩ সালে অন্তবর্তীকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে তিনি ইউপিডিএফে’র সাথে যুক্ত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এরপর তিনি পার্টির কাজে ইস্তফা দিয়ে পারিবারিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। এমতাবস্থায় রোগের সংক্রমণ বেড়ে গেলে তিনি ভারতে গিয়েও চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
তাঁর অকাল মৃত্যুতে ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
জেলাস চাকমার মৃত্যুতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুনয়ন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোকবার্তায় তারা বলেন, জেলাস চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদে দায়িত্ব থাকাকালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৯ সালে জাতীয় বেঈমানরা পার্টি কর্মী হরেন্দ্র-হুরুক্যা চাকমাকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করতে চেয়েছিল। পরে লাশ উদ্ধার করে গামারিঢালায় শহীদ হরেন্দ্র-হুরুক্যার দাহক্রিয়া অনুষ্ঠানে জেলাস চাকমা পিসিপি’র পক্ষ থেকে সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন জন শোক প্রকাশ ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।