২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট-এর সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ‘ট্রাইবেল’ কোটায় বাঙালি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্ত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)।
আজ শনিবার (২০ নভেম্বর ২০২১) পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি সুনয়ন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের জন্য বরাদ্ধকৃত কোটা ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন । সম্প্রতি চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের সম্মিলিত ভর্তি পরিক্ষার পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্ধকৃত কোটায় কর্তৃপক্ষ পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাঙালি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্ত করে ফলাফল প্রকাশ করেছে। আমরা আশংকা করছি, এর ফলে অনেক পাহাড়ি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি কর্তৃপক্ষের এমন ঘৃণ্য অন্যায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃদ্বয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলা ভিন্ন অন্যান্য ভাষাভাষী শিক্ষার্থীদের এমনিতে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ না থাকায়, উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ও চাকুরি লাভের ক্ষেত্রে তারা শুরুতেই বাধাপ্রাপ্ত হয়। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য সামান্য যেটুকু কোটা বরাদ্দ আছে, তাও সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় না।
তারা আরও বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য কোনো কোটা ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ পাহাড়ি শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ শেষে হতাশায় নিমজ্জিত হয়। অথচ প্রত্যেক দেশে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে কোটাসহ বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যাতে তারা মূল স্রোতের সাথে সমানভাবে বিকাশ লাভ করতে পারে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে চুয়েট, কুয়েট ও রুয়েটের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত কোটা থেকে বাঙালি শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে শুধু মাত্র পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্ত করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশের জোর দাবি জানান। এছাড়া, অন্যান্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫% এবং সমতলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য ৫% কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ের জন্য আহ্বান জানান।