নিজস্ব প্রতিবেদক
খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নয় হাজার ৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রফিকুল আলম মোবাইল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন আট হাজার ৭৪৯ ভোট। এছাড়া ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল পেয়েছেন চার হাজার ৩০৮ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রাজু আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল থেকে দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
খাগড়াছড়ি সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান জানান, কঠোর নিরাপর্ত্তার মধ্যদিয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে প্রথমবারের মতো খাগড়াছড়িতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তবে দুপুরের পর খাগড়াছড়ি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলমের সঙ্গে নৌকার সমর্থকদের কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।
টানা দুই মেয়াদে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম মেয়র ছিলেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রফিকুলের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। শুরু হয় সহিংসতা।
সে সময় কিছুটা বিভক্তি দেখা দেয় দলে। তাই এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় দলটি। যদিও কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য তিনজনের নাম কেন্দ্রে পাঠায়। যেখানে রফিকুলের নাম প্রথমে ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা তৃতীয় নম্বরে থাকা খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীকে মনোনীত করেন। পরে রফিকুল স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।
এবার খাগড়াছড়িতে চার মেয়র প্রার্থী, ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ৪০ জন সাধারণ কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৭ হাজার ৮৭ জন। এরমধ্যে নতুন ভোটার তিন হাজার ৪৮৬ জন।