
রাঙামাটিতে পূর্ণিমা চাকমা (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার এ মৃত্যুকে ‘অস্বাভাবিক’ ও রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকে।
মৃত পূর্ণিমা চাকমা জুরাছড়ি উপজেলার ৪নং দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বগাখালি এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে। তিনি রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। তিনি রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ী এলাকায় একজনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং সেখান থেকে পড়াশোনা করতেন।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (২৯ অক্টোবর ২০২১) দুপুরে পূর্ণিমা চাকমাকে অজ্ঞান অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান দুই নারী। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। হাসপাতাল নেয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে মৃত ঘোষণার পর পরই হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তিরা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর কলেজছাত্রীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে জানিয়ে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘কলেজছাত্রীর মৃত্যু ঘটনা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে ‘অস্বাভাবিক কিছু’ আছে বলে মনে হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে বলছেন, পূর্ণিমা যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সে বাড়ির মালিক তাকে মানসিকভাবে নানা নির্যাতন করতেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। সেটাও তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
এদিকে পূর্ণিমা চাকমার সহপাঠীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, সম্প্রতি সে প্রায়ই বাসা বদলানোর কথা বলতেন। তাদের ধারণা, তার সাথে “অস্বাভাবিক” কিছু ঘটেছে। তাই পূর্ণিমা যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেই বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে তারা মনে করছেন।