নিজস্ব প্রতিনিধি।। আবাসন প্রকল্পের কারসাজির পর এখন মানিকছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান এর নতুন পায়তারা শুরু হয়েছে পুনর্বাসন প্রকল্প ২০১৯কে ঘিরে। সরকার কর্তৃক প্রতিবছর এই পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় দুস্থ মানুষ দের বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়। তারই সুবাদে এই বছর ২০১৯ এর সেপ্টেম্বর মাস এ ২০টি পরিবারকে তাদের নিজের জায়গায় বসতবাড়ি বানিয়ে দেয়ার প্রকল্প আসে বলে জানা যায়। এই প্রকল্পের টেন্ডার নেয় চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক, যার তত্বাবধায়ণে প্রত্যেকটি পরিবার ১০ লক্ষ টাকা করে পাবে সরকার এর কাছ থেকে তাদের জায়গায় বসতবাড়ি তৈরি করার জন্য।

আজ নভেম্বর মাসের ৯ তারিখ শনিবার দুই মাস পরে ও এই ২কোটি টাকার প্রকল্পের কোন নাম গন্ধ নেই। এই সম্পর্কে জানেও না এলাকার জনসাধারণ। সূত্র থেকে জানা যায় একটিও দরখাস্ত জমা পরেনি এখনো পর্যন্ত। কিন্তু গত ৫ই নভেম্বর এই প্রেক্ষিতে দরখাস্ত জমা এবং কারা এই টাকা পাচ্ছে তা জানানোর শেষ দিন ছিল।
চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক এর কাছ থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান যে তিনি এলাকার কিছু দরিদ্র পরিবারকে এই সম্পর্কে জানায় কিন্তু কোনো আবেদন না আসায় সেই প্রকল্প এখন খারিজ হয়েছে।
পরে থানা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ এর বিবৃতি চাইলে তিনি জানান ২০টি পরিবার তাদের প্রত্যেকেই ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান পেয়েছে এবং প্রমাণ স্বরূপ একটি নথী দেখান। চেয়ারম্যান নিজে ২ কোটি টাকার অনুদান ২০টি পরিবার এ বন্টন করেন বলে নথিভুক্ত করা হয়।
পরিবার গুলোর নাম ঠিকানা নিয়ে ঘাটাঘাটি করে তাদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করলে জানা যায় তারা এই বিষয় এ কিছু জানেন না। তাদের কাছে আরও জানতে চাইলে নথির ব্যাপারে তারা জানায় যুবলীগ নেতা মোঃ কালাম হোসেন এবং জসীম উদ্দীন এসে তাদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে যায়। কাগজ এ কি লিখা ছিল তারা জানে না তবে তারা জানায় এই কাগজে নাকি তাদের টিকা দেয়ার জন্য বলে আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়।
চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক এর কাছে এই ব্যাপার এ জানতে চাইলে তিনি সরাসরি নাকচ করেন যে কোনো আবেদন না আসায় প্রকল্প খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু অপরদিকে টি,এন,ও তামান্না মাহমুদ বলেন ২ কোটি টাকা চেয়ারম্যানকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যার প্রমানও রয়েছে। আবার যাদের এই টাকা পাওয়ার কথা তাদের হাত এ কোনো টাকাই আসে নি।প্রকল্পের ২ কোটি টাকার হদিস নেই।