শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে প্রতীকী অনশন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশন করেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকবৃন্দ।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি ২০২২) বিকাল ৩ টায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে আয়োজিত এই প্রতীকী অনশনে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি, শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী অনীক ধর ও পিয়াস, শ্রমিক নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস, চবি ছাত্রনেতা শাহ মোহাম্মদ শিহাব, ছাত্রনেতা দীপা মজুমদার, ছাত্রনেতা সাইফুর রুদ্র, অগ্নিবীণা পাঠাগার সংগঠক মোহাম্মদ জাহেদ, চবি ছাত্রনেতা রোনাল চাকমা, চবি ছাত্রনেতা ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ, চবি শিক্ষার্থী দেওয়ান তাহমিদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী সজীব সাখাওয়াত। এতে আরো সংহতি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কেন্দ্রের সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, ছাত্র নেতা তিতাস চাকমা, থাইল্যান্ডের মাহিডন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজিনা বেগম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আজ এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে শিক্ষকরা তাদের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে নির্বিবাদে ছাত্রলীগ, পুলিশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো, রক্তাক্ত করা, মামলা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড এমনকি রাবার বুলেট পর্যন্ত মারার লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন জ্ঞান তৈরী কিংবা গণতান্ত্রিক চর্চা তো দূরে থাক, কে কতো স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারে, তার উপরই নির্ভর করে তাদের পদ ও পদবী। যারা শিক্ষার্থীদেরকে এভাবে রক্তাক্ত করে তাদের বিচার না করে বরং তাদেরকেই পরবর্তীতে পুরষ্কৃত করা হয়, যেটি লজ্জাজনক।”

বক্তারা অচিরেই শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। প্রতীকী অনশনের কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *