দীর্ঘ কয়েক যুগে চাকমা অধ্যুষিত অঞ্চলের গ্রামেগঞ্জ গুলোতে কোথাও Chakma Road স্থাপনা করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৬ সালে খাগড়াছড়ি জেলায় বিভিন্ন গ্রামে আক্রমণ শুরু হলেও অধিকাংশ চাকমাদের গ্রামগুলোতে সাম্প্রদায়িক হামলায় অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটলে বেকায়দায় পড়েন সাধারণ গ্রামবাসীরা। হামলার পরে প্রানে বাঁচাতে যে যেখানে পেরেছিল আশ্রয় নিয়েছিল, নানান সমস্যার কারণে গ্রামে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি বিধায় ভূমি মালিকানা রেজিস্ট্রার করতে ৯৯% সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকেছিল। বলতে গেলে সবাই দেশান্তরী হয়েছিলেন, কেউ কেউ অবস্থা বুঝে নিজ নিজ ভূমিতে ফিরে এসেছেও ভূমি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি, বসতবাড়ি নির্মাণ করতে পারেননি। পরিসংখ্যানে জানা যায় শরনার্থী তালিকায় অর্ধলক্ষাধিক থেকে বেশি। ত্রিপুরার শরনার্থীদের পাশাপাশি বিমল ভিক্ষু কলকাতায় গড়ে তোলেন বোধিচারিয়া কমপ্লেক্স। ধীরে ধীরে সেখানে স্থাপিত হয় আবাসিক ছাত্রাবাস, এভাবে নাম করণ হয়ে যায় Chakma Road ও। যা পৃথিবীতে কোথাও চাকমা নামে রোড নেই, একমাত্র কলকাতায় বিমল ভিক্ষু চাকমা নামে রোড নামকরণ করতে সক্ষম হন। তাছাড়াও বিভিন্ন দেশে পাহাড় নিয়ে লবিং করার অফুরন্ত ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন।