সাজেকে বিজিবি কর্তৃক পাহাড়িদের নির্মাণাধীন বাড়ি ভাঙচুর, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের উদয়পুর এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক স্থানীয় দুই পাহাড়ি গ্রামবাসীর নির্মাণাধীন বাড়ি ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (১৩ নভেম্বর) রুইলুই ক্যাম্পে থেকে ১০/১২ জনের একদল বিজিবি সদস্য উদয়পুর এলাকার বড় কমলাক পাড়ায় গিয়ে ১. ভোজধন চাকমা (বুজু), পিতা- জরিপ্যা চাকমা ও ২. ইন্দু কুমার চাকমা, পিতা- কালা মরত্তো চাকমা নামে দুই গ্রামবাসীর নির্মাণাধীন বাড়ি ভেঙে দেয় এবং ঐ এলাকায় কোন বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়ে সেখান থেকে ক্যাম্পে চলে আসে। 

এছাড়া বড় কমলাক পাড়ার বাসিন্দা সমর বিকাশ চাকমা, পিতা-শান্তি কুমার চাকমা ও সুবল চাকমা, পিতা-মৃত কালি কুমার চাকমাকেও ঘর নির্মাণে বাধা দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, উদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা  ১. রাঙাচান চাকমা, পিতা-আদি গচ্যে চাকমা ২. বুদ্ধি রঞ্জন চাকমা, পিতা-গোপাল কৃষ্ণ চাকমার জায়গা দখলএবং একই গ্রামের ১. বুদ্ধ রঞ্জন চাকমা, পিতা-রমনী মোহন চাকমা ও ২. সুপায়ন চাকমা, পিতা-কমল লোচন চাকমা’কে বাড়ি নির্মাণ করতে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজিবি’র বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ নভেম্বর বাঘাইছড়ি  বিজিবি’র ২৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেঃ কর্নেল মো. শরীফুল আবেদ (এসজিপি) ও বাঘাইছড়ি ইউএনও সাজেকে এসে জুম্মদের বাড়ি না তুলতে নির্দেশ দিয়ে যান।

এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী উক্ত ঘর নির্মাণে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে মানববন্ধন করেন।

উদয়পুর গ্রামের চৌমুহনী এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনের ব্যানারে তারা লেখেন “নিজের জায়গায় বাড়ি করতে বিজিবি’র বাধা কেন? প্রশাসনের জবাব চাই।”

এ সময় তারা ‘বিজিবি কর্তৃক ঘর ভাংচুর বন্ধ কর’; ‘আইন দেখিয়ে সরল জুম্মদের জমি কেড়ে নিও না’; ‘আমার জমি আমার চাই, প্রশাসনের দরকার নাই’ ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও প্রদর্শন করেন।

অপরদিকে, সাজেক শিজোক ছড়া হতে উদয়পুর পর্যন্ত সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কারণে ইতোমধ্যে ২০৭ পরিবার পাহাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে উদয়পুর হইতে মারিশ্যা সদর কজোইছড়ি ইসিবি কর্তৃক নির্মাণাধীন রাস্তায়ও অনেক পাহাড়ি পরিবার ক্ষতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *