নিজস্ব প্রতিনিধি।। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের খেয়াংম্রং পাড়া থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক মংয়ইপ্রু মারমা (৩০) নামে এক নিরীহ জুম্মকে ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মংয়ইপ্রু মারমাকে রোয়াংছড়ির আন্তাপাড়া সেনা ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নোয়াপতং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মধ্যপাড়া গ্রামের মংচথই মারমার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, ক্যাম্পে দেখা করার জন্য বলা হলে মংয়ইপ্রু মারমা গ্রামের কার্বারী হ্লাগ্য মারমাসহ দুজন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার বিকাল ৩:০০ টায় আন্তাপাড়া ক্যাম্পে দেখা করতে যান।
আলাপ করার পর কার্বারী হ্লাগ্য মারমাদের জিম্মায় মংয়ইপ্রুকে ছেড়েও দেয় সেনা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনী কর্তৃক আবার দরকার আছে বলে মংয়ইপ্রুকে ডেকে নিয়ে বান্দরবান সেনা জোনে চালান দেয়া হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানান।
এসময় তাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তুলে রোয়াংছড়ি সেনা জোনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনা জোনে নিয়ে মংয়ইপ্রু মারমাকে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী কর্তৃক জনৈক মংশিংশৈ মারমাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত করে বান্দরবান সদর থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, মংশিংশৈ মারমাকে গুলি করে হত্যা ঘটনায় তার স্ত্রী হ্লাউয়ই মারমা অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে রোয়াংছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় মংয়ইপ্রু মারমার নাম ছিল না।
মংয়ইপ্রু মারমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রোয়াংছড়ি থানা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। সংগঠনের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংযোগ ছিল না বলে জানা গেছে।
তাঁর পিতামাতা রোয়াংছড়ি সদর এলাকায় বসবাস করলেও বিয়ে করার পর মংয়ইপ্রু মারমা খেয়াংম্রং পাড়াতে দীর্ঘ অনেক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। তাঁদের পরিবার অত্যন্ত গরীব ও নিরীহ।
মংয়ইপ্রু মারমাকে মিথ্যাভাবে মংশিংশৈ মারমার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত জনপ্রতিনিধি জানান।