নিজস্ব প্রতিনিধি।। নালিতাবাড়ি উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে সরকারী খাল খনন প্রকল্পে ভিটেহীন হয়েছে ১৩ টি গারো আদিবাসীসহ নিম্ন আয়ের প্রায় শতাধিক পরিবার। পানি সেচ সুবিধা তৈরী করে কৃষকদের উন্নয়ন করার নামে খালটি খনন করা হচ্ছে টি আর “কাবিটার” অর্থায়নে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনা পরিদর্শনের পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা নাগরিক প্রতিনিধি ও জনউদ্যোগ টিম। তারা জানান, খালটি লোকালয়ের বিশগিরিপাড়া, বৈশাখী বাজার, তাড়ানি, কালাকুমার গ্রামের মাঝ দিয়ে ভোগাই নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রায় ৬-৭ ফুট গভীর ও ১৫ ফুট প্রশস্ত খালটির দৈর্ঘ প্রায় ৮ কি. মি.। যা গ্রামের মাঝ দিয়ে হওয়ায় উচ্ছেদ হয়েছে ১৩টি আদিবাসীসহ প্রায় শতাধিক পরিবার। এছাড়াও ফসলী জমি ও গাছ-গাছালী খাল খননের কারনে নষ্ট হয়েছে। অনেকের রেকর্ডিয় সম্পত্তি নিয়মকানুন তোয়াক্কা না করে, অধিগ্রহণের অধিকার রাখে এমন জমিন এই খালের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করছেন।
ক্ষতিগ্রস্তগণ বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্তসহ সরাসরি যোগাযোগ করেও ইতিমধ্যে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ প্রাপ্ত হননি বলে হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয়রা জানান, বৈশাখী বাজার হতে তাড়ানী ভোগাই পর্যন্ত কোন কালেই খাল ছিলো না। তাদের দাবী, খালটি নকশাহীন, পরিকল্পনাহীন ও অনুমোদনহীনভাবে শ্রমিকরা খালটি ইচ্ছেমাফিক যত্র-তত্র খনন করছে। প্রভাবশালীমহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে কৃষকদের উন্নয়নের নামে কৃষকদের উচ্ছেদ করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করছে।