খাগড়াছড়ি॥ খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা, মহালছড়ি ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দেবতা পুকুর নামক জায়গায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা জাতিসত্তার লক্ষীনারায়ণ মন্দির ভেঙ্গে সেনা ক্যাম্প নির্মাণের অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
এলকাবাসীর তথ্য মতে, গত বুধবার বেলা ২.৩০টার দিকে গুইমারার নাক্যাপাড়া ক্যাম্প, মাটিরাঙ্গার আকবাড়ী ক্যাম্প, মহালছড়ি জোন থেকে সেনারা তিন দিক থেকে দেবতাপুকুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর তারা সেখানে একটি সেনাক্যাম্প নির্মাণ করতে শুরু করে।
উল্লেখ্য গত ৩ মাস আগে দেবতা পুকুর এলাকায় ধর্ম প্রতিপালনের জন্য লক্ষীনারায়ণ মন্দির প্রতিষ্ঠান করে পার্শবর্তী ৮টি গ্রামের ( দেবতাপুকুর পাড়া, মধ্যম পাড়া, তৈমাতা পাড়া, সাথি পাড়া, গুইমারা পাড়া, স্কুল পাড়া, মালতি পাড়া, রশিধন পাড়া) সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া গত ১১ নভেম্বর নামযজ্ঞের মাধ্যমে লক্ষীনারয়ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠাপন করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ দুই দিন গত হতে না হতে ১৩ নভেম্বর মন্দির থেকে লক্ষীনারয়ণ মূর্তি চুরি করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। সে সময় মূর্তি চুরির ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন করে ।
এছাড়া গত ৫ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি ইউএনও-এর পক্ষ থেকে দেবতা পুকুরের মন্দির এলাকায় অন্যায়ভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এর পরই সেনাবাহিনীর সদস্যরা ১০ ডিসেম্বর রাত থেকে লক্ষীনারায়ণ মন্দির ভেঙ্গে দিতে থাকে।
মন্দির ভাঙ্গার ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ ও ট্রাক্সর্ফোস চেয়ারম্যান বাবুকুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। তাদের দাবি ১৩ ডিসেম্বর মন্দির থেকে মূর্তি চুরি ও মন্দির ভাঙ্গচুরের ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, ধর্ম প্রতিপালনের জন্য দেবতা পুকুরের উক্ত জায়গায় লক্ষীনারায়ণ মন্দির পূণ প্রতিষ্ঠা করে দেওয়া, লক্ষীনারায়ণ মন্দিরকে কেন্দ্র করে জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়া।
কিন্তু কুজেন্দ্র এলাকাবাসীর দাবি পূরণে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা যায়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।