মোটর সাইকেল চালককে (মোঃ রাকিব/আকিব, পিতা- মো: ইকবাল) অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ করে আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে সেটলার বাঙালিরা খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়া পাড়ায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এ সময় তারা পাহাড়িদের ওপর হামলাও চালায়। এতে মংসা প্রু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন।
এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন সেটলারদের মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেলেও তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
জানা যায়, আজ সকাল থেকে সেটলাররা সংঘবদ্ধ হয়ে জালিয়া পাড়ায় অবস্থান নেয়। এ সময় তারা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং মিছিল-সমাবেশ করে। তারা পাহাড়িদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। একই সময় তারা গুইমারা থানার ওসিকেও প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত সেটলাররা পাহাড়িদের ওপর (গাড়ির যাত্রীসহ) চড়াও হয় ও ধাওয়া করে।
এতে অনেকে পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হলেও তাদের হামলায় মংসা প্রু চৌধুরী গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে গুইমারা বিজিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে মানিকছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহত মংসা প্রু চৌধুরীর বাড়ি মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলীতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামলার সময় সেখানে থাকা এক ব্যক্তি ৩ জনকে [পাহাড়ি] রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।
এ পরস্থিতিতে স্থানীয় পাহাড়িদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। হামলার ভয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের পাহাড়িরা অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
এ অবস্থায় প্রায় সারাদিন থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকালের দিকে সেটলাররা রাস্তা অবরোধ তুলে নিলে গাড়ি চলাচল শুরু হয় এবং পরিস্থিতিও কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী জালিয়া পাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। তবে স্থানীয় পাহাড়িরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন।
এদিকে, মোটর সাইকেল চালককে অপহরণ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ দুই পাহাড়ি যুবককে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।