নিজস্ব প্রতিনিধি।। গত ২৩ আগস্ট লংগুদুতে জেএসএস (সন্তু) সদস্যদের সশস্ত্র হামলায় শহীদ হওয়া শ্যামল চাকমা ওরফে ভীম-এর ছোট ভাই সুজু চাকমা ওরফে সুজয় (২২) ইউপিডিএফের একজন সক্রিয় সদস্য। ২০১৯ সালের ১২ আগস্ট তিনি পার্টিতে যোগ দেন। নিজ ভাইয়ের মৃত্যুর পরও তার চোখে মুখে দৃঢ়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের ছাপ স্পষ্ট।
শ্যামল চাকমা ভীম শহীদ হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় সিএইচটি নিউজকে সুজয় বলেন, ভীম দা শহীদ হলেও আমরা এখনও আরও তিন ভাই বেঁচে আছি। আমি অবশ্যই পার্টি কর্তৃক আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবো। আমাদের দুর্ভাগা জুম্ম জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই আমি ভীম দা হত্যার প্রতিশোধ নিতে চাই।
ভীমরা ৪ ভাই ৩ বোন। নানিয়াচরের প্রত্যন্ত গ্রাম গবছড়িতে তাদের বসবাস। তাদের পিতার নাম কুলেশ্বর চাকমা ও মাতার নাম প্রীজিতা চাকমা। ভাইদের মধ্যে সুজয় বাদে বাকি দুই ভাই বিবাহিত এবং চাষাবাদ করে জীবন ধারণ করেন। বোনদের মধ্যে দুই জনের বিয়ে হয়েছে, আর এক বোন বাড়িতে থাকে।
ভাই হত্যার জন্য সন্তু লারমাকে দায়ি করে সুজয় বলেন, জেএসএস সভাপতি সন্তু লারমা জাতিকে ধ্বংস করতে নতুন করে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত শুরু করেছেন। ইউপিডিএফের সাথে তাদের পার্টির যে সমঝোতা হয় তাও তিনি লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য তাকে অবশ্যই মাশুল দিতে হবে। জাতির বিরুদ্ধে এমন অপরাধ করে তার পার্টি জেএসএস কোনদিন টিকতে পারবে না।
ভীমের মৃত্যুতে তার কোন আপসোস নেই, কারণ তিনি জাতি ও জনগণের মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এজন্য শহীদ ভীম আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন হিসেবে ইতিহাসে বেঁচে থাকবেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের পার্টির (ইউপিডিএফ) আদর্শ ও রাজনৈতিক লাইন সঠিক, আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। এ জন্য আমাদের প্রতি জনগণের বিপুল ও আন্তরিক সমর্থন রয়েছে।
ইউপিডিএফের নেতৃত্বে একদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার ও মুক্তি অর্জিত হবে বলে তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন এবং অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত ইউপিডিএফের সাথে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।