বাংলাদেশে ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যখন উদ্বেগ বেড়েছে, এমন প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। রাজনীতিকদের অনেকে মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যই এক ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার, যা অনেক ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান হচ্ছে।যদিও ছাত্র-শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে অংশ নেওয়াদেরও অনেকে তার পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।বার বার দাবির ওঠার পরও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনের ব্যাপারে সরকারের আপত্তি কেন, এ প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।
দেশে সেনা-পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর যৌথ অভিযানের এক মাস পার হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন সেভাবে হয়নি; বরং সাধারণ নাগরিকের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।ফলে সরকারও পরিস্থিতিটাকে একেবারে নাকচ করে দিতে পারছে না। তাদের দিক থেকে বার বার কঠোর হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। সরকারের এমন সব কথায়ও মানুষ আস্থায় নিতে পারছে না বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন।তারা বলছেন, মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা ঠেকানোসহ বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। সেকারণে সামাজিক নৈরাজ্যের বিস্তৃতি ঘটেছে।রাজনীতিকদেরও অনেকে মনে করেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারেন না।অন্যতম প্রধান দল বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যদি ঢেলে সাজাতে চায়, তা বিবেচনা করা যেতে পারে।”তবে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে। তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সরানোর পক্ষে নয়।