আজ ২১ সেপ্টেম্বর ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক ও শহীদ রূপক চাকমার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০১ সালের এই দিনে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইউপিডিএফ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ চালানোর সময় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার পুজগাঙের মধুমঙ্গল পাড়ায় একদল সন্ত্রাসীর গুলিতে তিনি শহীদ হন। এ ঘটনায় মোহন চাকমা ও সুজিত চাকমা নামে আরও দু’জন গুরুতর আহত হন।
রূপক চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। ছাত্রত্ব শেষ হবার পরে তিনি ইউপিডিএফের অন্যতম সংগঠক হয়ে শহীদ হবার আগ পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত নির্যাতিত জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের উদীয়মান জুম্ম নেতৃত্বের মধ্যে রূপক চাকমা ছিলেন একজন। তিনি কোন লোভ-লালসার কাছে বশীভূত না হয়ে জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাঁকে বাঁচতে দেয়নি।
রূপক চাকমা আজ না থাকলেও তিনি নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য যে চেতনা ধারণ করেছিলেন সে চেতনার কোন মৃত্যু নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।