মহান ধর্মীয় গুরু উ চ হ্লা ভান্তের মৃত্যুতে ইউপিডিএফের শোক প্রকাশ

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল ২০২০) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের মহান ধর্মীয় গুরু ও বান্দরবানে বুদ্ধ ধাতু জাদি মন্দির প্রতিষ্ঠাতা উ পঞঞা জোত মহাথের (উ চ হ্লা ভান্তে)-এর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উ চ হ্লা ভান্তেকে একজন উচ্চশিক্ষিত ও প্রজ্ঞাবান ভিক্ষু হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রদ্ধেয় ভান্তে সরকারী বিচার বিভাগের চাকুরী ছেড়ে গৌতম বুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রহ্মচারী ভিক্ষু জীবন বেছে নিয়েছিলেন।
প্রসিত খীসা পূজনীয় ভান্তেকে একজন অত্যন্ত সমাজ সচেতন ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘তিনি জনগণকে শিক্ষা, ধর্মীয় ও সামাজিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে আজীবন কাজ করে গেছেন।’
ভান্তের মহান কীর্তি ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে মন্তব্য করে ইউপিডিএফ নেতা আরও বলেন, ‘উ চ হ্লা ভান্তে অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করেননি, তিনি বরং দুঃসময়ে ও বিপদে আপদে জনগণকে সাহস ও মনোবল যুগিয়েছেন এবং তাদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছিলেন।’
প্রসিত খীসা ১৯৯৫ সালের ১৫ মার্চ বান্দরবান শহরে পাহাড়ি বসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে বিশেষভাবে স্মরণ করে বলেন, ‘ভান্তে সেদিন উক্ত বর্বর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন এবং হামলা থেকে রক্ষা করতে আমাকেসহ তৎকালীন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।’
এ জন্য প্রসিত খীসা ভান্তের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভান্তের মহাপ্রয়াণে পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্মীয় ক্ষেত্রে ও সমাজ সংস্কারমূলক কাজে এক গভীর শূণ্যতা সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে গত শুক্রবার সকালে উ চ হ্লা ভান্তেকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুপুরে তাঁর অবস্থার আরো অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। ৭২ ঘন্টা পর্যবেক্ষণের পর‌ আজ (সোমবার) সকালে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *