লামায় ভূমি রক্ষা আন্দোলনের নেতা রংধজন ত্রিপুরার উপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি।। বান্দরবানের লামায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও পরিচালক কামাল উদ্দিন গং এর লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী কর্তৃক ম্রো ও ত্রিপুরাদের ভূমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা রংধজন ত্রিপুরার ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমবেশ করেছে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চবি ও মহানগর শাখা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই ২০২২) বিকাল ৪ ঘটিকায় চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি হিল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে চেরাগি মোড়ে এসে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে পিসিপির নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের নগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উচিংশৈ চাক শুভ ও পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অংকন চাকমা। এছাড়াও সমাবেশে সংহতি জানান শ্রমিক ফ্রন্ট এর নগর সভাপতি বিজয় চাকমা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গতকাল আনুমানিক রাত ৮ টার সময় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন ও প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিনের লেলিয়ে দেয়া ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী লামার সরই ইউনিয়নের ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ভূমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা রংধজন ত্রিপুরার উপর হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় রংধজন ত্রিপুরাকে উদ্ধার করে প্রথমে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।

বক্তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ সরই ইউনিয়নের লাংকম কার্বারি পাড়া, রেংয়েন কার্বারি পাড়া ও জয়রাম ত্রিপুরা পাড়ার ৪০০ একর ভূমি ২০১৯ সাল থেকে বেদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল ভূমি দখলের উদ্দেশ্য কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকশত রোহিঙ্গা শ্রমিক এনে উক্ত গ্রামের ৪০০ একর ভূমি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ এখনও লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ ভূমি বেদখলের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। যা শুরু থেকে উক্ত ৩ গ্রামবাসী ছাড়াও পাহাড় ও সমতলের প্রগতিশীল শক্তি প্রতিবাদ প্রতিরোধ করে আসছে।

বক্তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়  পাহাড়িদের ভোগদখলকৃত ভূমি বেদখলের উদ্দেশ্য প্রশাসন ও ভূমি দস্যুদের তৎপরতা ও হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা গত ৫ জুলাই খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়িতে সেটেলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়িদের ৩৭টি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পরও প্রশাসনের নির্লিপ্ততার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

বক্তারা অবিলম্বে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন ও প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিনসহ রংধজন ত্রিপুরার উপর হামলাকারী সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তাদের ভূমি বেদখলকারীদের গ্রেফতার ও ভূমি বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *