নিজস্ব প্রতিনিধি।। গুইমারায় সেনা মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী কর্তৃক ইউপিডিএফ সংগঠক অংথৈয়াই মারমা (আগুন)-কে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লক্ষ্মীছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) লক্ষ্মীছড়ি ইউনিট।
আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২২) দুপুরে অনুষ্ঠিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রাঞ্জল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ’র লক্ষ্মীছড়ি ইউনিটের সংগঠক বিবেক চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সভাপতি পাইচি মারমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা সহ-সভাপতি রিটন চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা মদদে হত্যাকাণ্ড নতুন নয়। ২০০৯ সালে লক্ষ্মীছড়িতে ইউপিডিএফ নেতা রুইখই মারমাকে হত্যা করে সেনা মদদপুষ্ট বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীরা। সেনা মদদে ২০১৮ সালে খাগড়াছড়িতে মিঠুন চাকমা ও স্বনির্ভর-পেরাছড়ায় পিসিপি নেতা তপন, এল্টন ও যুব নেতা পলাশ চাকমামসহ ৭ জনকে খুন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় গতকাল গুইমারায় অংথোই মারমা আগুনকে হত্যা করা হয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা একের পর এক মানুষ খুন করলেও তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। উপরন্তু তাদেরকে আস্তানা তৈরি করে দিয়ে নিরাপত্তা দিয়ে অপকর্মে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, সেনাবাহিনী নিরাপত্তার নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। তারা নিজেরাই নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েও ক্ষান্ত না হয়ে সন্ত্রাসী পুষে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে অংথোই মারমার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার ও খুনিদের সেনা আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদদান বন্ধ করার জোর দাবি জানান।