স্থানীয় প্রতিনিধি।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি লাপাইগয় পাড়াতে অংমেসিং মারমা (৩০) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী, এমন অভিযোগ করছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ক্যনুঅং মারমাকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ।
নিহত অংমেসিং রোয়াংছড়ি উপজেলা ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে ৬নং ওয়ার্ড কচ্ছপতলি পাড়া বাসিন্দার থুইসাচিং মারমার (জদিরা) মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার (২১ জানুয়ারি) কচ্ছপতলি পাড়ায় অংমেসিং মারমা, দাদুর মৃত দেহ দেখতে গিয়েছিলেন। ওইদিন গভীর রাত হয়ে গেলে লাপাইগয় পাড়া নিজ বাড়িতে না ফিরে কচ্ছপতলি বাবার বাড়িতে থাকেন। সে দিন রাতে অনুমান সাড়ে ১০টা দিকে স্বামী ক্যনুঅং মারমা কচ্ছপতলি শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রী অংমেসিং মারমাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
নিজের বাড়ির পৌঁছলে স্ত্রী অংমেসিং মারমাকে খুন করে স্বামী ক্যনুঅং। পরে এলাকাবাসী অংমেসিং মারমা নিহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশে খবর দেন।
নিহতে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক স্বামী ক্যনুঅং মারমাকে আটক করে থানা নিয়ে আসে।
নিহত অংমেসিং মারমার বাবা থুইসাচিং মারমা অভিযোগ করে বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিনা কারণে আমার মেয়েকে আমাদের বাড়ি থেকে রাতের আধাঁরে ডেকে নিয়ে ঘাতক স্বামী ক্যনুঅং মারমা খুন করেছে।
তিনি এ ঘটনার কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
রোয়াংছড়ি থানার ওসি মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামীকে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন অংমেসিং মারমাকে খুন করা হয়েছে বলে নিহতদের পরিবারে দাবি করছেন। তবে নিহতের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত তদন্তের পরে জানা যাবে।