লক্ষ্মীছড়ি : খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমাকে আবারো আটক করেছে সেনাবাহিনী।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীছড়ি সদর এলাকা থেকে মোটর সাইকেলযোগে মরাচেঙ্গীর দিকে যাওয়ার পথে সেনাজোন এলাকায় তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর রাতেই সুপার জ্যোতি চাকমাকে লক্ষ্মীছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ (বুধবার) তাকে আদালতে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-গুইমারা এলাকার প্রধান সংগঠক সচিব চাকমা আজ সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সুপার জ্যোতি চাকমাকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায় ধরপাকড় ও নিপীড়ন-নির্যাতনের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এর থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। প্রতিনিয়ত অন্যায়ভাবে কাউকে না কাউকে গ্রেফতার, রাত-বিরাতে ঘরবাড়ি তল্লাশিসহ জনগণের উপর নানা অত্যাচার চালানো হচ্ছে। ফলে জনগণ এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে সুপার জ্যোতি চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তি ও অন্যায় ধরপাকড়সহ জনহয়রানিমূলক কর্মকা- বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি উপজেলা সদরের নিজ সরকারি বাসভবন থেকে অস্ত্র গুঁজে দিয়ে সেনাবাহিনী তাকে আটক করে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছিল ।
সে সময় তার মুক্তির দাবিতে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখা দেয়। গঠিত হয় সুপার জ্যোতি চাকমা মুক্তি সংগ্রাম কমিটি। খাগড়াছড়ি পুরো জেলায় পালিত হয় অবরোধ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি।
পরে ১ মাস কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও সেনাবাহিনীর নানা হুমকি ও চাপের মুখে ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।