সম্প্রতি ডিজিএফআই ও সেনাজোনের সহযোগিতায় সংস্কারপন্থী ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ খাগড়াছড়ি জেলাধীন লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি এলাকায় আগমণ করেছে। তখন থেকে তারা লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়ি উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করে আসছে, এবং স্থানীয় অধিবাসী ও ব্যবসায়ীদের উপর চাঁদাবাজি ও নিপীড়ন চালিয়ে আসছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রাত আনুমানিক ১১:০০ টায় সেনাজোনকে অবহিত না করে জনপ্রিয় চাকমার নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থী গোষ্ঠী ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এর এই সশস্ত্র গ্রুপটি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা ও মানিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলাধীন বটতলি, কাঞ্চনপুর ও ফটিকছড়ি এলাকায় যায় এবং পিসিজেএসএস সদস্যদের লক্ষ্য করে অনেক বাড়িতে নির্বিচার তল্লাশী চালায়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর সকালে এই সশস্ত্র গ্রুপটি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা ও চট্টগ্রাম জেলাধীন ফটিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী মানিকছড়ি উপজেলাধীন বড় দুলু এলাকার দিকে যায়। উল্লেখ্য যে, অন্যান্যের মধ্যে বড় দুলু ও ইহার সংলগ্ন এলাকাসমূহ দীর্ঘদিন যাবৎ সেখানে অবস্থানকারী ইউপিডিএফ কর্তৃক মাঝে মাঝে নিয়ন্ত্রিত হয়।
তাছাড়া, লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনও তাদের স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছিল যে, এই সশস্ত্র গ্রুপটি ইউপিডিএফ এর অংশ। সেই কারণে, তাদেরকে ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র গ্রুপ ধারণা করে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বিকাল আনুমানিক ৫:০০ টায়, লক্ষ্মীছড়ি থেকে সেনাবাহিনী দুইটি যানবাহন যোগে দ্রুত বড় দুলু ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যায়। বড় দুলু এলাকায় সেনাবাহিনী পৌঁছার সাথে সাথে সেনাবাহিনী এবং সংস্কারপন্থী-ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে গোলাগুলি শুরু করা হয় এবং ইহা এক ঘন্টা যাবৎ স্থায়ী হয়। খবর পাওয়া গেছে যে, এই বন্দুক যুদ্ধে, লক্ষ্মীছড়ি জোনের সেকন্ড-ইন-কম্যান্ড মেজর আনিসুর রহমানসহ দুই সেনাসদস্য আহত হয় এবং সংস্কারপন্থী-গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সশস্ত্র গ্রুপের কম্যান্ডার জনপ্রিয় চাকমা গুরুতর আহত অবস্থায় সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়। জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী কর্তৃক তাকে চট্টগ্রামের সিএমএইচ-এ নিয়ে যাওয়া হয়।