তাতিন্দ্র-সুদর্শন নেতৃত্বাধীন সংস্কার গ্রুপ রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন মারিশ্যা বাজার থেকে বন্দুকের নলের মুখে ৫ নিরীহ গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছে। গত ২ অক্টোবর, বুধবার ছিল মারিশ্যা বাজারের হাটবার। সেই অনুসারে স্থানীয় জনগণের সকল পর্যায়ের মানুষ কেনাকাটার জন্য মারিশ্যা বাজারে আসে। কেনাকাটার সময় সকাল প্রায় ৯:০০টায় সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর নাকের ডগায় দিবালোকে বাজার থেকে নিম্নোক্ত ৫ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে:
(১) পূর্ণ কিশোর চাকমা, পীং-লালন বিহারী চাকমা, গ্রাম-নীচের বাঘাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন;
(২) সত্যলাল চাকমা, পীং-প্রয়াত যাত্রা মোহন চাকমা, গ্রাম-মধ্যম বাঘাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন;
(৩) সজীব চাকমা, পীং-কালিচরণ চাকমা, গ্রাম-মধ্যম বাঘাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন;
(৪) কালাচিজি চাকমা, পীং-বেলা চাকমা, গ্রাম-উগোলছড়ি, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন;
(৫) বাবুল্যা চাকমা, পীং-প্রয়াত ভারত চন্দ্র চাকমা, গ্রাম-উত্তর সিজক, সার্বোয়াতলী ইউনিয়ন।
জানা গেছে, অপহৃত ব্যক্তিদের বাঘাইছড়ি ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়, ঐ সময় সেখানে সশস্ত্রভাবে সজ্জিত অংশুমান চাকমা ও আপন চাকমার নেতৃত্বে সংস্কারপন্থীদের একটি গ্রুপ অবস্থান করছিল। উল্লেখ্য যে, ব্রিজে একটি বিজিবি পোস্ট ছিল। তবে সংস্কারপন্থী দুস্কৃতিকারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে বন্দুক নিয়ে অবস্থান করলেও বিজিবি সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। খবর পাওয়া গেছে, অংশুমান চাকমা ও আপন চাকমা মুক্তিপণ হিসেবে প্রত্যেক অপহৃত ব্যক্তির কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেছে। অতি সম্প্রতি সংস্কারপন্থী গ্রুপ প্রত্যেক গ্রাম থেকে বিরাট সংখ্যক টাকা দাবি করে আসছে। যারা তাদের দাবি অনুযায়ী টাকা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা অপহরণের শিকার হয়েছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে টাকা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। জানা গেছে, ২ অক্টোবর ২০১৯ বিকালে দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ৩ অক্টোবর বিরাট অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে বাকীদের মুক্তি দেওয়া হয়।