আদিবাসী নেতাদের অভিযোগ, অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর দায়ে ১.৮০ কোটি টাকা এবং ১৬৫ কোটি বিদেশী মুদ্রাসহ গ্রেফতারকৃত জিকে শামীম একটি রিসোর্ট স্থাপনের জন্য বান্দরবান সদর উপজেলায় একটি পুরো গ্রাম থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করেছে। জানা যায় যে, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় জিকে শামীম উক্ত রিসোর্টটি অবৈধভাবে পরিচালনা করছে। ২০১৮ সালে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে, সিলভান ওয়ে রিসোর্ট এবং স্পে লিমিটেড-এর কর্তৃপক্ষ সাইগ্য মারমা পাড়ায় ছয় পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে। অপরদিকে সাইগ্য পাড়া, লাইমী পাড়া এবং হাতি ভাঙ্গা পাড়ায় আরো ১৭০ পরিবার উচ্ছেদের মুখে রয়েছে। রিসোর্টের কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ছয় পরিবারকে উচ্ছেদ করে ২৫০ একর জায়গা দখল করেছে।
পর্যটন, উন্নয়ন, অর্থনৈতিক জোন, সেনা ক্যাম্প স্থাপন ইত্যাদির অজুহাতে আদিবাসীদের অধিকাংশ জমি জবরদখল করা হয়েছে। আদিবাসী নেতারা অভিযোগ করেন যে, তারা জেলা প্রশাসনের নিকট অনেক বার অভিযোগ দাখিল করেছিলেন, কিন্তু আজ অবধি কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
সাইগ্য ত্রিপুরা পাড়ার যোসেফ ত্রিপুরা বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মনে হয় প্রশাসনকে ঘুষ দেয়া হয়েছে। তারা জানান যে, অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তারা মৃত্যুর হুমকি পেয়ে আসছিলেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভূমি দখলদারদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া অভিযোগ করেন।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শফিউল আলম বলেন যে, সিলভান ওয়ে রিসোর্ট এবং স্পা লিমিটেডের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ এবং ভূমি বেদখলে জিকে শামীমের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের জড়িত থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
সূত্র: ডেইলী স্টার