রাঙ্গামাটি প্রতিবেদক
কল্পনা চাকমা- ফাইল ছবি
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমার অপহরণ মামলায় এরই মধ্যে ৩৯ তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। তারা সর্বশেষ চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দিয়েছেন। কিন্তু তার পরিবার ও সংগঠন সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি। তবে এতে হতাশ হলে চলবে না। কল্পনা অপহরণের বিচার পেতেই হবে। সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও সোচ্চার হতে হবে।
শনিবার কল্পনা চাকমার ২৫তম অপহরণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, বিচার পাওয়াটা রাষ্ট্রের সব নাগরিকের অধিকার। কিন্তু কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার দীর্ঘ ২৫ বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও রাষ্ট্র পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে উদাসীন। রাষ্ট্র যদি এগিয়ে না আসে, তবে তা প্রকাশ করা সম্ভব হবে না এবং বিচার হবেও না।
কল্পনা অপহরণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কার্যালয়ে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কল্পনা অপহরণ মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল দেওয়ান। পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট সুস্মিতা চাকমা, পিসিজেএসএসের কেন্দ্রীয় স্টাফ সদস্য আশিকা চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির জেলা শাখার সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাগর ত্রিপুরা নান্টু। স্বাগত বক্তব্য দেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ম্রানু মারমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা।
আলোচনার শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যৌথ বিবৃতি পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি সোনারিতা চাকমা।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা লাইল্যাঘোনা এলাকার বাড়ি থেকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা কল্পনা চাকমাকে অপহরণ করে।
এ ঘটনার মামলার ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে রাঙামাটির পুলিশ সুপার তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট রাঙামাটি আদালতে পেশ করেছেন। তবে কল্পনা চাকমার বড় ভাই কালিন্দী কুমার চাকমা এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নারাজির আবেদন জানিয়ে মামলার অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।