বরিশালের গৌরনদীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জামাল হোসেনের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে শহীদ জামালের বাড়িতে যান তিনি। এ সময় তিনি শহীদ জামালের কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি শহীদ জামালের একমাত্র মেয়ে, স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জহির উদ্দিন এ সময় শহীদ জামালের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বরিশাল-১ (আগৈলঝাড়া-গৌরনদী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন এর আগে গৌরনদীতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে অংশ নেন। প্রায় দেড় যুগ পর নিজ সংসদীয় এলাকায় ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন। সকাল আটটায় গৌরনদী কলেজ–সংলগ্ন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে তিনি হাজারো মুসল্লির সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষ জহির উদ্দিন দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
নেতা-কর্মীরা বলেন, প্রায় ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের রাজনীতি একরকম ‘নিষিদ্ধ’ চোখে দেখা হতো। জহির উদ্দিন স্বপনকে তাঁর নিজ গ্রামের বাড়িতে এসে ঈদসহ সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হতো। প্রায় দেড় যুগ পর প্রিয় নেতা এলাকায় ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
বিকেলে শহীদ জামাল হোসেনের বাড়িতে তাঁর কবর জিয়ারতের পর জহির উদ্দিন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতনের আন্দোলনে শহীদ জামালসহ সব শহীদের আত্মদান কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই শহীদদের আত্মত্যাগকে জাতি সারা জীবন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’গৌরনদীর বাসিন্দা জামাল হোসেন ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন। জুলাই আন্দোলন চলাকালে ঢাকার রায়েরবাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হন।বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন