রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বড় হাড়িকাবা এলাকায় পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে সেটলার বাঙালিরা। এতে ৫ জন পাহাড়ি আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার (৯ মে ২০২০) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
উক্ত হামলার ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জানা যায়, আজ সকাল পাহাড়িরা বিভিন্ন কাজে ইঞ্জিনচালিত নৌকা যোগে রাঙামাটি যাচ্ছিলেন। তারা সাড়ে ৭টার সময় লংগদু সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বড় হাড়িকাবা (১নং টিলা নামেও পরিচিত) নামক স্থানে পৌঁছলে বাঙালি সেটলাররা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অন্ততঃপক্ষে ৫ জন আহত হন।
‘আহতরা হলেন মৃত কান্তমনি চাকমার ছেলে দয়াল চন্দ্র চাকমা (৫২), নুয়া মঙ্গল চাকমার ছেলে প্রসিত চাকমা ওরফে ধনবান (৪৫), জুরেন্দ্র চাকমার ছেলে ধনমনি চাকমা (৩০), মৃত ভক্তমনি চাকমার ছেলে সুমতি চাকমা ওরফে নাগা (৪৭) এবং মনি চাকমার ছেলে ভগিরথ চাকমা (৩৫)। তারা সবাই ৭নং লংগদু ইউপির অধীন ধুধুকছড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ সময় সেটলাররা মোবাইল, টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে হামলার শিকার হওয়া পাহাড়িরা অভিযোগ করেছেন।
ইউপিডিএফ-এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা এক বিবৃতিতে এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বড়হাড়িকাবা পাহাড়ি গ্রামে গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কার্বারীদেরকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে বলে ইউপিডিএফ নেতা অভিযোগ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যতদিন সেটলারদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসন করা হবে না, ততদিন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে থাকবে অথবা ঘটার আশঙ্কা থাকবে।’
লংগদুতে অতীতেও বেশ কয়েকবার সাম্প্রদায়িক হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ সব হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার জন্যই সেটলাররা বার বার তার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে সাহস পাচ্ছে।’
সচল চাকমা স্বৈরাচারী এরশাদ ও জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুনর্বাসিত সেটলারদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নিয়ে সমতলে তাদের স্ব স্ব জেলায় সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসনের দাবি জানান।