নিজস্ব প্রতিবেদন: সুমন বড়ুয়া
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : যে কোনো সময়ের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে রাঙ্গুনিয়াজুড়ে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলাজুড়ে অর্ধশতাধিক স্পটে মাদকের হাট বসে প্রকাশ্যে। এসব হাটে দেদারছে বিকিকিনি হচ্ছে মাদক। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলছে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চললেও একদিনের জন্য অপরাধ কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান ও দোভাষী বাজার এলাকায় আবাসিক হোটেলের নামে গড়ে উঠেছে কয়েকটি মিনি পতিতালয়। চন্দ্রঘোনা ফেরীঘাট এলাকায় প্রকাশ্যে মাদকের হাট বসে। এসব স্পটে প্রতিদিন শত শত যুবকের আনাগোনা রয়েছে। মাদকের ভয়াবহতায় এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লিচুবাগান ব্যবসায়ী সমিতির এক কর্মকর্তা জানান, বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন দুটি আবাসিক হোটেলে দিনেরাতে চলছে দেহব্যবসা। একইভাবে দোভাষী বাজারের কয়েকটি আবাসিক হোটেলও এ ধরনের অবৈধ কর্মকা-ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। মাদক ও পতিতাবৃত্তির কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের অবৈধ কর্মকা-ের কারণে এলাকার যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অসামাজিক কর্মকা- বন্ধে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষেভ সমাবেশ করেছেন সচেতন নাগরিকরা। গত শুক্রবার বিকেলে চন্দ্রঘোনা ফেরীঘাট এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা রোধ ও দেহব্যবসাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে তারা এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি চন্দ্রঘোনার লিচুবাগান, ফেরীঘাট, দোভাষী বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ এবং মিছিল শেষে লিচুবাগান বাস স্ট্যান্ড চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক আলেম-ওলামা অংশ নেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ও লিচুবাগান একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। নানা কারণে এই এলাকার গুরুত্ব অপরিসীম। অতিব দুঃখের বিষয় চন্দ্রঘোনার কিছু স্পটে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হিরোইন, গাঁজা, ছোলাই মদসহ নানা ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি বিক্রি হচ্ছে অবাধে এবং বখাটে যুব সমাজ তা সেবন করছে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে। তাছাড়াও এই এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়মিত চলছে দেহব্যবসা, অনৈতিক ও অসমাজিক কার্যকলাপ। এসব আবাসিক হোটেল যেন একেকটি মিনি পতিতালয়। যার কারণে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বিনিষ্ট হচ্ছে বসবাসের পরিবেশ। এমনতর গুরুতর অপরাধ, পাপাচার, অনাচার আর ব্যভিচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বিপদগামী আর নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীরা। এই অপকর্মের কারণে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার অমানিশার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হচ্ছে। এসবে জড়িতরা কোন আইনকানুন আর সামাজিক বন্ধন আর দায়বদ্ধতার তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ও দেহব্যবসার মতো গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধে তাদের সহযোগিতা দিচ্ছে সমাজের কিছু প্রভাবশালী, অর্থলোভী স্বার্থন্বেষী মহল।