পানছড়িতে “বর্তমান পরিস্থিতি ও যুব সমাজের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা ইউপিডিএফ’র

নিজস্ব প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়ির পানছড়িতে “বর্তমান পরিস্হিতি ও যুব সমাজের করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভা করেছে ইউপিডিএফ’র স্থানীয় ইউনিটে।

আজ সোমবার (৫সেপ্টেম্বর ২০২২) দুপুর ১টায় সময় আয়োজিত উক্ত আলোচনা সভায় ইউপিডিএফ’র পানছড়ি ইউনিটের সমন্বয়ক আইচুক ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও সংগঠক সম্রাট চাকমা’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শান্তিজীবন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসাধারণ সম্পাদক পিংকু চাকমা, পানছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি এস মঙ্গল চাকমা। এতে যুব সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, অনুদত্ত চাকমা, দীপায়ন চাকমা, টমাস চাকমা, হ্যাপী চাকমা ও নিউটন চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এদেশের শাসকগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ধ্বংস করার জন্য সকল অপকৌশল অবলম্বন করছে। একদিকে দমন-পীড়ন, ভূমি জবরদখল, অন্যদিকে জুম্ম দিয়ে জুম্ম ধ্বংসের নীতি বাস্তবায়ন করছে। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে। এ অবস্থায় জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদেরকে করণীয় ঠিক করতে হবে। বিশেষত যুব সমাজকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তারা বলেন, যুবসমাজ হচ্ছে জাতি ও সমাজের প্রধান উদীয়মান শক্তি। এ শক্তি সংগঠিত হলে দুনিয়ার কোন অপশক্তি নেই দমিয়ে রাখার। আমরা নব্বই দশকে ছাত্র-যুব সমাজের সেই শক্তি দেখেছি। নতুন করে আবারো শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

বক্তারা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতকে শাসকগোষ্ঠির অপকৌশল উল্লেখ করে বলেন, খুন, গুম, ধরপাকড়্ ও নানা নিপীড়ন সত্ত্বেও ইউপিডিএফকে দমিয়ে রাখতে না পেরে সর্বশেষ তারা নতুন করে আবার সন্তু লারমার জেএসএসকে সংঘাতে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছে। কিন্তু জনগণ যে এ সংঘাত আর চায় না সেটা জেএসএসও নিশ্চয় বুঝতে পারছে। আমরা আশা করবো অচিরেই এ সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে জেএসএস এগিয়ে আসবে।

যুব সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে আমরা শঙ্কিত না হয়ে পারি না। ফলে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নানা কারণে যুব সমাজকে সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকতে হয়। ফলে অবিভক্ত ছাত্র আন্দোলনের সময় যেভাবে ছাত্র-যুব সমাজ উৎসাহ নিয়ে মিছিল-সমাবেশে যোগদান করেছে, বর্তমান সময়ে এসে তা পারছে না। অনেক ভেবেচিন্তে প্রোগ্রামে অংশ নিতে হয়।

তারা বলেন, ইউপিডিএফ সরকারের নিকট যে দাবিনামা পেশ করেছে সে বিষয়ে জেএসএস আলোচনা-সমালোচনা করতে পারতো। কিন্তু তারা সেটা না করে সংঘাত শুরু করায় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় সকল পক্ষকে সহনশীল ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে সংঘাত পরিহার করে জাতীয় ঐক্য গড়তে কাজ করা উচিত বলে তারা মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *