খাগড়াছড়িতে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক এক গৃহবধুকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৮ সংগঠনের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিনিধি।।খাগড়াছড়ির দেওয়ান পাড়ায় এক পাহাড়ি নারীকে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী চক্র কর্তৃক গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের ক্রিয়াশীল ৮টি ছাত্র সংগঠন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া এবং বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুনয়ন চাকমা স্বাক্ষরিত আট ছাত্র সংগঠনের এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই ২০২২) সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বিবৃতিতে ছাত্র নেতৃবৃন্দ ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের দায়ের করা মামলা এজাহার থেকে জানা যায়- গত ২৭ জুন খাগড়াছড়ি জেলায় সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়া নামক স্থানে রাত্রী যাপনের উদ্দেশ্যে বান্ধবীর বাসায় অবস্থান কালে সন্ধ্যে ৭টা দিকে পাড়ার চিহ্নিত মাস্তান রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য পিন্টু চাকমা, সাধু চাকমা ও জেকশন চাকমা ভিকটিমকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে পাশ্ববর্তী ক্লাবে মারধর ও জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। এতে ভিকটিম গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান।

চিহ্নিত ধর্ষকদের এখনো গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে ধর্ষকরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ভিকটিম ধর্ষকদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা গ্রহণ করেনি। পরে ভিকটিম আদালতে গিয়ে মামলা করতে বাধ্য হয়। প্রশাসনের এমন ভূমিকা প্রমাণ করে ধর্ষকরা রাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি ২০১৮ সালে ১৮ মার্চ রাঙামাটি কুদুকছড়ি থেকে তৎকালীন হিল উইমেন্স ফেডারেশনে নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়া সোনা চাকমাকে অপহরণ করে। পরে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রগতিশীল ছাত্র-নারী সংগঠনসমূহের তীব্র প্রতিবাদের মুখে দুই নেত্রীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সে সময় অপহরণকারীদের নামে মামলা হলেও আসামীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় দুর্বৃত্তদের স্পর্ধা বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসীরা তাদের খুঁটির জোর কতখানি তা জাহির করতে দেওয়ানপাড়ায় এ ন্যাক্কারজনক গণর্ধষণ সংঘটিত করেছে।

আট সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গণধর্ষণের হোতা পিন্টু, সাধু, জেকশন চাকমাদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভিকটিমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *