মানিকছড়িতে আবাসন প্রকল্পের বিনিময়ে প্রকাশ্যে টাকার দাবী

নিজস্ব প্রতিবেদক, মানিকছড়ি – ২০১৩ সাল থেকে চলমান এই আবাসন প্রকল্পের অধিন এ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অসহায় ভূমিহীন, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র জনগণ এর জন্য আধুনিক ডিজাইনে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হয়। সেই প্রক্রিয়ার অধিনে ২০১৯ সালেও মানিকছড়িতেও ১২টি আদিবাসী পরিবারকে আবাসন দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। যদিওবা ১২টি আদিবাসী পরিবারকে বিবেচনার মাধ্যমে বাড়ী দেয়ার কথা সেই জায়গায় আনুমানিক ১০০টি পরিবার এর দরখাস্ত জমা হয়। পাহাড়ী আদিবাসীর সাথে সাথে ৭৫টির মত নতুন বাঙ্গালী পরিবার এর দরখাস্ত জমা হয় যারা অন্যান্য বিভাগ থেকে পাহাড় এর উদ্দেশ্যে আসে। এদের বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলে জানা যায় প্রত্যেকের নিজস্ব ঘর বাড়ী আছে। প্রকল্পের শেষে যখন চাবি বিতরন এর সময় হয় তখন জানা যায় ১২ পরিবার এর মধ্য থেকে শুধুমাত্র ২ টি আদিবাসী পরিবার চাবি পায় বাকি ১০টি চলে যায় তথাকথিত সেটেলার পরিবার এর হাত এ।

এ সম্পর্কে চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক থেকে জিজ্ঞেসা করা হলে তিনি কোনোপ্রকার বিবৃতি প্রকাশ এ অসম্মতি জানান। থানা নির্বাহী অফিসার তামান্না মাহমুদ এর কথন হল এই প্রকল্পের পরিবার নির্বাচন এর দায়িত্ব তিনি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক-কে দিয়েছিলেন।

ছবিঃ আবাসন প্রকল্পের বাড়ী

এর প্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য আবাসনপ্রাপ্ত কয়একটি পরিবার থেকে জিজ্ঞেসা করা হলে তারা জানায় প্রত্যেকেই ৭-১০লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই বাড়ী জায়গা সহ কিনে নিয়েছেন চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক এর কাছ থেকে যিনি তাদের নিজ বাড়ী থেকে অর্থাৎ অন্য জেলা থেকে নিয়ে এসেছেন। এই বিবৃতির প্রমান চাইলে তাদের একজন কিছু রশিদ দেখায় যেখানে স্পষ্ট ভাষায় লিখা ছিল যে জমি এবং ঘর বাবদ ৮লক্ষ ৭৫হাজার টাকা বুঝিয়া পাইলাম যা চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক দ্বারা স্বাক্ষরিত।

আদিবাসী পরিবারগুলোও জানায় তারাও ৪ লক্ষ টাকার বিনিময় এ এই আবাসন এ থাকার অনুমতি নিয়েছেন। অনন্যা আদিবাসী পরিবার যারা টাকা দিতে সক্ষম ছিল না তাদের নাকি সরাসরি নিশেধ করে দেয় চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান ফারুক এর কর্মী যুবলীগ নেতা মোঃ কালাম হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *