খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে দশম শ্রেণীর পাহাড়ি স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে মো. হোসেন উদ্দিন নামে এক সেটলারকে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মানিকছড়ি উপজেলার এতলং পাড়ার মো. মোতালেব হোসেনের ছেলে।
আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১) সকাল ৯টায় কর্ণেল বাগান নামক এলাকা থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহায়তায় এলাকাবাসী মো. হোসেন উদ্দিনকে আটক করে।
পরে তাকে মানিকছড়ি থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করতে গেলে পুলিশ নানা গড়িমসি করে। অভিযুক্ত ব্যক্তির ছবি তুলতে বাধা দেয়।
এরপর মানিকছড়ি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় ও গিরিমৈত্রী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে থানায় গেলে থানার ওসি অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানা গেছে। তবে প্রকৃতঅর্থে তা করা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার ও শিক্ষার্থীরা।
অবশ্য এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মানিকছড়ি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কর্ণেল বাগান নামক স্থানে একা পেয়ে প্রথমে ছাত্রীর মোবাইল নম্বর খুঁজতে থাকে। এতে ছাত্রী তার মোবাইল নাম্বার না দিলে মো. হোসেন উদ্দীন তাকে হাত চেপে ধরে টেনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই ছাত্রী ধস্তাধস্তি ও হাতে কামড় দিয়ে পালাতে গেলে হোসেন উদ্দীন তাকে দা দিয়ে কোপ দিলে সামান্য আঘাপ্রাপ্ত হয়। পরে ওই ছাত্রী কোনমতে সেখান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে বাড়িতে যেতে সক্ষম হয়। এরপর সে বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়।
পরে ছাত্রীর বাবা এলাকার লোকজনকে ঘটনাটি জানান এবং মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর তিনি মানিকছড়ি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ঘটনাটি অবহিত করেন এবং অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগও দেন।
কিন্তু অভিযোগের পরও পুলিশ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসী ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহায়তায় আজ সকাল ৯টার সময় ধর্ষণ চেষ্টাকারীকে চিহ্নিত করে তাকে আটক করার পর থানায় সোপর্দ করেছে।
এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রী, তার পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ধর্ষণ চেষ্টাকারী মো. হোসেন উদ্দীনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।