রাঙামাটির বরকল উপজেলার বড় হরিণা এলাকা থেকে ৭ জন পাংখোয়াকে আটক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
গত বুধবার (৬ অক্টেবর) ও বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ১. হওয়াং পুইয়া পাংখোয়া (৩৮), পিতা- বানতির পাংখোয়া, গ্রাম-চাইচাল পাড়া, আইমা ছড়া ইউপি, ২. থান জৌয়াল পাংখোয়া (১৭), পিতা- থানময় পাংখোয়া, গ্রাম- জৌতুই পাড়া, গ্রাম- বামে হালাম্বা, বরকল ইউপি, ৩.আদি পাংখোয়া (২৫), পিতা-সাংচাল পাংখোয়া, গ্রাম- বামে হালাম্বা, বরকল ইউপি, ৪. লাললম পাংখোয়া (২৫), পিতা-সুমাহার পাংখোয়া, গ্রাম- জৌতুই পাড়া, বামে হালাম্বা, বরকল ইউপি, ৫.এলবিট পাংখোয় (২০), পিতা-লালচুই পাংখোয়া, গ্রাম-জৌতুই পাড়া, বামে হালাম্বা, বরকল ইউপি, ৬. জৌরাম পাংখোয়া (২৩), পিতা-জৌয়া পাংখোয়া, গ্রাম-জৌতুই পাড়া, বামে হালাম্বা, বরকল ইউপি ও লিয়ান্না পাংখোয়া (৫১), পিতা-থাংসালেই পাংখোয়া, গ্রাম-জৌতুই পাড়া, বামে হালাম্বা, বরকল ইউপি।
জানা যায়, গত বুধবার বড় হরিণা এলাকা থেকে হওয়াংপুইয়া পাংখোয়া, থানজৌয়াল পাংখোয়া, আদি পাংকুয়া, লাললম পাংখোয়া ও এলবিট পাংখোয়াকে আটক করে বিজিবি সদস্যরা। বড়হরিণা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে কর্ণফূলী নদীর পাড়ে বিজিবি ও বরকল থানা পুলিশের যৌথ চেকপোষ্টে তল্লাশি চালিয়ে `অস্ত্র-গুলি, মাদক’সহ তাদেরকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
এরপর বৃহস্পতিবার বিজিবির বরকল ব্যাটালিয়ন (৪৫ বিজিবি), রাজানগর ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিজিবি) ও রাঙামাটি সেনা জোনের একটি যৌথ দল হালাম্বা এলাকা থেকে জৌরাম পাংখোয়া ও লিয়ান্না পাংখোয়াকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকেও ৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে আটককৃতদের কাছ থেকে সত্যিকার অর্থে অস্ত্র-গুলি ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে, নাকি তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
অনেকের মতে, ইদানিং পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘অস্ত্র উদ্ধার’ নাটক সাজিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাতে এই আটকের ঘটনাটিও যে সেধরনের হবে না তা বলা যায় না।
আটক উক্ত ৭ জনকে বরকল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক রাখার অপরাধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরকল সার্কেলের দায়িত্বে থাকা এএসপি মো. আব্দুল আউয়াল চৌধুরী।