নিজস্ব প্রতিবেদক
খাগড়াছড়ির মহালছড়ার মং রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনব্যাপী রাজপুণ্যাহ শুরু হচ্ছে। আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) মং সার্কেলের প্রধান রাজা সাচিং প্রু চৌধুরীর হাতে রাজস্ব ও উপহার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে।
রাজা সাচিং প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান থাকবেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
এছাড়াও সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি ও গুইমারা রিজিয়নের অধিনায়ক, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
রাজপুণ্যাহ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হিরণজয় ত্রিপুরা বলেন,এ আয়োজন পার্বত্যাঞ্চলের তিনটি সার্কেলে বিভক্ত সব জনগণের কাছে একটি ভিন্নধর্মী আবেদন রাখে। রাজপুণ্যাহকে ঘিরে ব্যাপক উৎসব আয়োজনও হয়ে থাকে পৃথক তিন সার্কেলে। তবে এ বছর কোনো মেলা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজপুণ্যাহর দ্বিতীয় দিন শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বার্ষিক রাজস্ব খাজনা আদায় অনুষ্ঠানে মং সার্কেল প্রধান রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী দিনভর ৮৮টি মৌজার প্রধান বা হেডম্যান এবং ৭০১ পাড়াপ্রধানের (কার্বারি) কাছ থেকে খাজনা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের উপঢৌকন গ্রহণ করবেন। এছাড়াও হেডম্যান ও কার্বারিদের সঙ্গে দিনব্যাপী মতবিনিময় করবেন রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী।
রাজপুণ্যাহর তৃতীয় দিন রোববার (১২ ডিসেম্বর) নারী হেডম্যান ও নারী কার্বারিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান থাকবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা। মং রানী উখ্যেংচিং মারমা (চৌধুরী) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা এবং ইউএনডিপির প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
রাজপুণ্যাহ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও গোলাবাড়ি মৌজার হেডম্যান উক্যসাইন চৌধুরী বলেন, রাজপুণ্যাহ ঘিরে প্রতিবছর ব্যাপক উৎসব আয়োজন হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর করোনা মহামারির কারণে রাজপুণ্যাহর আয়োজন সীমিত করা হয়েছে। শুধুমাত্র রুটিন কাজগুলোই করা হবে এবার।