
‘পূর্ণিমা চাকমা আত্মহত্যা করেনি, তাকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও পূর্ণিমার সহপাঠীরা।আজ সোমবার (১ নভেম্বর ২০২১) রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তারা এই অভিযোগ করেন।
পূর্ণিমা চাকমা’র হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রাজিয়া চাকমা, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাধনা চাকমা, লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বিধি চাকমা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তরুণ চাকমা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা পূর্ণিমা চাকমাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির মালিকসহ একটি চক্র প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পূর্ণিমার মুত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।
মানববন্ধন থেকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পূর্ণিমা চাকমাকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

মানববন্ধন শেষে দুপুর ১:০০টার সময় শিক্ষার্থীরা রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির হলরুমে এ ঘটনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনও করেছেন।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা চাকমা (১৯) জেলার জুরাছড়ি উপজেলার বগাখালি এলাকার সাধন চাকমার মেয়ে। তিনি রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে বাসা ভাড়ায় থেকে পড়াশোনা করতেন।
গত শুক্রবার (২৯ অক্টোবর ২০২১) দুপুরে পূর্ণিমা চাকমাকে অজ্ঞান অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান দুই নারী। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। হাসপাতাল নেয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে মৃত ঘোষণার পর পরই হাসপাতালে নিয়ে আসা দুই নারী সেখান থেকে পালিয়ে যান।
তার এই মৃত্যুর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা সন্দেহ ও প্রশ্নের জন্ম দেয়। তখন থেকেই ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড দাবি করে তার সহপাঠীরা তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন।