ইউপিডিএফের রামগড় উপজেলা ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরাকে অন্যায়ভাবে আটক, নির্যাতন ও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ইউপিডিএফ ও পিসিপি মানিকছড়ি উপজেলা ইউনিট।
“অন্যায় গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, জুলুমসহ দমন-পীড়ন চালিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না” এই শ্লোগানে আজ রবিবার (০৭ জুন) সকালে মানিকছড়িতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে ইউপিডিএফের মানিকছড়ি উপজেলা ইউনিটের সংগঠক এডিশন চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের মানিকছড়ি উপজেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক চিনু মারমা ও পিসিপি’র মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শিমুল চাকমা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশে এবং বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা ভাইরাস মহামারির আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অন্যায়-অত্যাচার থেমে নেই। প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও মানুষ তাদের অন্যায় নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন জারি রেখে জনগণের বাকস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ভুলুণ্ঠিত করছে।
তারা ইউপিডিএফ সংগঠক অপু ত্রিপুরাকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী দল ইউপিডিএফের ওপর পরিকল্পিতভাবে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। আর এর অংশ হিসেবে একের পর এক নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে আটক করে বিচার বহির্ভুত হত্যা, নির্যাতনসহ ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। আর আদালত থেকে জামিন পেলেও মুক্তি না দিয়ে কারাগারের ভেতর নেতা-কর্মীদের তিলে তিলে হত্যা করা হচ্ছে।
বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা তুলে নিয়ে আটক অপু ত্রিপুরাসহ সকল নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি, অন্যায় দমন-পীড়ন বন্ধ করা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সাংগঠনিক কাজ শেষে রামগড়ে ফেরার পথে মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউপি’র ন’ভাঙা নামক স্থান থেকে সেনাবাহিনীর একদল সাদা পোশাকধারী সদস্য অপু ত্রিপুরাকে আটক করে। আটকের পর ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে তার ওপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরদিন (শুক্রবার) বিকালে তাঁকে মানিকছড়ি উপজেলার জামতলা এলাকায় নিয়ে গিয়ে কথিত ‘অস্ত্র উদ্ধার’ নাটক সাজিয়ে সন্ধ্যায় থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।