চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিশেষ নিলামের দরদাতাদের তালিকা প্রকাশ হতে ২৬ দিন সময় নেয়ার পর বিডারদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর পরই তালিকা প্রকাশ করা উচিত ছিল, কিন্তু এতদিন পর প্রকাশ করায় পণ্য বিক্রয়ের অনুমোদন এবং ডেলিভারি নিয়ে অস্পষ্টতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেক বিডারই নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না, কারণ তাদের জামানতের পে অর্ডার দীর্ঘ সময় আটকে থাকে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা জানিয়েছে, এবারের নিলামে ১৪৫টি লটের মধ্যে ১ হাজার ৪০০টি দরপত্র জমা পড়েছে, যা যাচাই-বাছাই করতে সময় লেগেছে। তবে তারা নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন জানান, অনলাইন এবং ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে দরপত্র জমা পড়েছিল, এবং কিছু বিডারের মধ্যে পে অর্ডার জমা দিয়ে একাধিক লটের জন্য আবেদন করার কারণে যাচাই করতে সময় নেয়া হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ফেরদৌস আলম জানিয়েছেন, দ্রুত তালিকা প্রকাশ এবং বিক্রয় অনুমোদন প্রক্রিয়া চালু করার দাবি করেছেন। তাদের মতে, এতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং বিডার উভয় পক্ষই উপকৃত হবে।
নিলাম থেকে আয় হওয়া পণ্যগুলোর সময়মতো সরবরাহ না নেয়ায় বন্দরে কন্টেনার জটও সৃষ্টি হচ্ছে, যা দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর হয়নি।