নিজস্ব প্রতিনিধি।। রাঙামাটি জেলার সাজেক ইউনিয়নের পর্যটন এলাকা কংলাক পাড়ায় সেটলার বাঙালি (দোকানদার) কর্তৃক ১৭ বছর বয়সী এক ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাটি সামাজিক বিচারে অভিযুক্ত ও ভিকটিমকে জরিমানা করে মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার (১০ মে ২০২২) ভোররাতে উক্ত ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত সেটলার বাঙালির নাম মো. রায়হান (২৭), পিতা- মো. হাসান, গ্রাম- বোয়ালখালি, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি। সে দীঘিনালা থেকে পর্যটন এলাকায় গিয়ে মালামাল বিক্রি করে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. রায়হান দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীর সাথে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনার দিন (১০ মে) ভোররাত ৩টার সময় ওই কিশোরী প্রাকৃতিক কাজে টয়লেটে গেলে মো. রায়হান সেখানে উপস্থিত হয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনাটি বুঝতে পেরে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে মো. রায়হানকে ধরে ফেলে।
এরপর ঐদিন দুপুরের সময় স্থানীয় মৌজার হেডম্যান লাল তং পাংখোয়া সামাজিকভাবে উক্ত ঘটনার বিচার করেন। বিচারে উভয়ের স্বীকারোক্তিমূলে অভিযুক্ত সেটলার মো. রায়হানকে ১৫ হাজার টাকা ও ভিকটিম কিশোরীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি মীমাংসা করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে উক্ত ঘটনাটি এতদিন প্রকাশ না করে গোপন রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরস্পরের মধ্যে জানাজানি হওয়ার ফলে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। পরে খোঁজ নিয়ে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যায়।
এদিকে, ঘটনায় অভিযুক্ত মো. রায়হান এখনো পর্যটন এলাকায় দোকানদারি করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা অভিযুক্ত মো. রায়হানকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।