সংখ্যালঘু ইস্যু সরকার কতটা সামাল দিতে পারছে

রাকিব হাসনাত ও সৌমিত্র শুভ্র

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নানা অভিযোগ এবং এরপর সনাতন জাগরণের মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ভারতের সাথে ‘কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃশ্যত অবনতি’ ঘটেছে।

এর জের ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি, সামাজিক মাধ্যমে পতাকা অবমাননার ছবি প্রচারসহ ভারত ও বাংলাদেশে পরস্পরবিরোধী আগ্রাসী প্রচারণা, কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু কিংবা তাদের উপাসনালয়ে ভাংচুর-হুমকির অভিযোগ উঠে আসছে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় কোন কোন ব্যক্তি এবং বিশ্লেষকদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যেসব ঘটনা ঘটছে তা অভ্যন্তরীণ ও কূটনৈতিকভাবে সরকার ঠিকভাবে সামাল দিতে পারছে কি না?

সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারতো কিংবা পরিস্থিতি সামাল নিতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হলে তার প্রভাব কেমন হবে অর্থাৎ ভবিষ্যতে কেমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে, সেসব আলোচনাও শুরু হয়েছে।

যদিও জাতিসংঘের সংখ্যালঘু বিষয়ক ফোরামে বাংলাদেশ বলেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এবং দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর পদ্ধতিগত কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশটির পার্লামেন্টে বলেছেন, সংখ্যালঘুদের মন্দির ও ধর্মীয় স্থানগুলোতেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ফেসবুক পাতায় সংখ্যালঘু বিষয়ে ভারতের অবস্থানকে ‘দ্বিচারিত’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *