লংগদুতে সেটেলার কর্তৃক পাহাড়িদের জায়গা বেদখলের অপচেষ্টা!

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটরকছড়া মৌজায় ৬ পাহাড়ি গ্রামবাসীর মালিকানাধীন ১৯ একর জায়গা সেটেলার বাঙালিরা জবরদখলের অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।জায়গার মালিকগণ হচ্ছেন-১) মহারাজ চাকমাপিতা- কদম্ব চাকমাহোল্ডিং নং আর১৬পরিমাণ- ৫.০০ একর।২) তরঙ্গ মনি চাকমাপিতা- কদম্ব চাকমাহোল্ডিং নং আর১৪২পরিমাণ- ৩.০০ একর।৩) যোগেন্দ্র চাকমাপিতা- কদম্ব চাকমাহোল্ডিং নং আর৬৮/৯০পরিমাণ- ৩.০০ একর।৪) বীরেন্দ্র চাকমাপিতা- চন্দ্র মনি চাকমাহোল্ডিং নং আর১৩৯পরিমাণ ২.০০ একর।৫) উকিল চন্দ্র চাকমাপিতা- কলাহিয়া চাকমাহোল্ডিং নং আর১৩২পরিমাণ- ৩.০০ একর।৬) সিংহ রাজ চাকমাপিতা- প্রফুল্ল রঞ্জন চাকমাহোল্ডিং নং আর৮৭/১০৯পরিমাণ- ৩.০০ একর।

জানা গেছে যে, গত ১২ জুন ৩০/৩২ জনের একদল সেটেলার বাঙালি গিয়ে উক্ত পাহাড়ি গ্রামবাসীদের ভোগদখলীয় ও বন্দোবস্তীকৃত ভূমিতে সৃজনকৃত বাগিচার নারিকেল, আম, কাঠালসহ বিভিন্ন ফলজ গাছ কেটে জঙ্গল পরিস্কার করতে শুরু করে।

এ সময় ভূমির মালিকরা তাদের ভূমিতে ফলজ গাছ ও জঙ্গল পরিস্কার না করার জন্য সেটেলারদের বাধা দিলে উল্টো সেটলাররা “দা” উচিয়ে পাহাড়িদের ওপর চড়াও হয়ে হুমকি দেয় ও বিভিন্ন গালিগালাজ করে। “এই জায়গাগুলো তোমাদের নয় আমাদেরআমাদের জায়গাজমি আমরা পরিষ্কার করবোতাতে তোমাদের কি অসুবিধা” বলে হুমকি প্রদান করে।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় করল্যাছড়ি আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার, সংশ্লিষ্ট মৌজার হেডম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অধিকন্তু ৩/৪ দিন ধরে অবৈধভাবে ভূমি জবরদখল চালিয়ে যেতে থাকে সেটেলাররা।

ফলে বাধ্য হয়ে গত ১৪ জুন ২০২০ নিজেদের ভূমি রক্ষা করার জন্য জুম্ম ভূমি মালিকরা একজোট হয়ে সেটেলারদের বাধা দিতে যায়। এসময় পাহাড়ি ও সেটেলারদের মুখোমুখি অবস্থানের ফলে পরিস্থিতি অবনতির আংশকা দেখা দেয়।
এই অবস্থায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এড়ানোর জন্য গতকাল সোমবার (১৫ জুন ২০২০) সকাল ১০টার সময় লংগদু উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ ফোর্সসহ লংগদু উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) কেথোয়াইপ্রু মারমা ও আটরকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমাকে সরেজমিন তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়।উভয় পক্ষের অভিযোগ শোনার পর তারা উভয়পক্ষকে পারস্পারিক সমঝোতার জন্য আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।  অন্যথায় আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আদেশ দিয়ে বিরোধীয় ভূমিতে কোন ধরনের কার্যক্রম না করার জন্য তারা উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *