লংগদুতে পাহাড়ি গ্রামবাসীর জায়গা বেদখল করে সেটলারদের ঘর নির্মাণ

সেটলারদের তৈরি করা ঘর

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নে বাঙালি সেটলাররা এক পাহাড়ি গ্রামবাসীর বন্দোবস্তিকৃত জায়গা বেদখল করেছে ঘর নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।হিল ভয়েসে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, গত ৪ জুন ২০২০ দিবাগত রাতে উপজেলার বগাচতর মৌজার মৃত ভুলসিং চাকমার ছেলে নবীনচান চাকমার বন্দোবস্তকৃত ৩.০ একর জায়গা জবরদখল করে বগাচতর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়ার মৃত নজুমিয়া চৌধুরীর ছেলে মো: আলী আহম্মদ চৌধুরী ও মজনু সরকারের ছেলে মো: আব্দুল আলীম সরকার নামে দুইজন সেটেলার রাতের আঁধারে একটি ঘর নির্মাণ করে।এ বিষয়ে জমির মালিক নবীনচান চাকমা গত ১৬ জুন ২০২০ মঙ্গলবার সেটলারদের অবৈধভাবে নির্মিত ঘরটি ভেঙ্গে দিয়ে জায়গাটি সেটেলারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে দেয়ার জন্য লংগদু উপজেলার ইউএনও বরাবরে এক দরখাস্ত পেশ করেছেন।উক্ত দরখাস্তে নবীনচান চাকমা উল্লেখ করেন যে, ১৯৮০-৮১ সালে পার্বত্য এলাকার সার্বিক পরিস্থিতির শিকার হয়ে জীবন বাঁচার তাগিদে বসতবাড়ি, বাগান-বাগিচা, জায়গা-জমি ফেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়।

নবীন চান চাকমার জায়গার বন্দোবস্তি দলিল

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে নিজ এলাকায় ফিরে এলেও নিরাপত্তার কারণে তার নামে বন্দোবস্তকৃত উক্ত জায়গায় তিনি বসতবাড়ি নির্মাণ করতে পারেননি। জায়গাটি দীর্ঘ বছর যাবত পতিত অবস্থায় পড়ে থাকলেও জমির মালিক প্রতিবছর খাজনা প্রদান করে আসছেন।কিন্তু মো: আলী আহম্মদ চৌধুরী ও মো: আব্দুল আলীম সরকার জায়গার মালিক নবীনচান চাকমার অজান্তে উক্ত জায়গার উপর সৃজনকৃত ফলজ ও বনজ গাছপালা কেটে ঘর নির্মাণ করে।বাড়ি নির্মাণের কয়েকদিন পর জানতে পেরে নবীনচান চাকমা বাধা প্রদান করতে গেলে সেটেলাররা উল্টো তাকে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করে এবং জায়গাটি তাদের বলে দাবি করে।বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প কম্যান্ডার ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেও কোন সমাধান না পাওয়ায় ইউএনও’র বরাবরে নবীনচান চাকমা দরখাস্ত দাখিল করেন এবং নির্মাণকৃত বাড়িটি ভেঙ্গে দিয়ে তার জায়গাটি সেটেলারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে দেয়ার দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *