নিজস্ব প্রতিবেদক।। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বাজারে গত সোমবার (২১ মার্চ ২০২২) রাতে ডিজিএফআই’র লোকজন কর্তৃক কর্তৃক স্থানীয় ঘাগড়া ইউনিয়নের তিন পাহাড়ি যুবক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মারধরের শিকার হওয়া যুবকরা হলেন, ১. জুয়েল চাকমা (১৮), পিতা- প্রতীক কুমার চাকমা, গ্রাম-হারাঙ্গী রিফিউজি পাড়া, পেশায় তিনি একজন ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক; ২. নির্মল চাকমা (১৭), পিতা- পুনংচান চাকমা, গ্রাম-লেভাপাড়া ও ৩. রনেল চাকমা (১৭), পিতা-কারন বিকাশ চাকমা, গ্রাম- লেভাপাড়া।
জানা যায়, ঘটনার দিন (সোমবার) নির্মল চাকমা ও রনেল চাকমা মোবাইল ফোন ঠিক করতে রাঙামাটি শহরে যায়। মোবাইল ঠিক করার পর তারা জুয়েল চাকমার মোটর সাইকেলে যাত্রী হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা ঘাগড়া বাজারে এসে একটি দোকানে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সদস্য মো. তারেক ও সেনা স্পাই মিল্টন তঞ্চঙ্গ্যার নেতৃত্বে ১০-১২ জন গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ধারী দুর্বৃত্ত তাদেরকে সেখান থেকে সোনালী ব্যাংক ভবনের নিচতলায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা উক্ত যুবকদেরকে নানা হুমকি ধমকি দেয়, তল্লাশি চালায় ও মারধর করে।
কিন্তু মারধর ও তল্লাশি করার পর তাদের কাছ থেকে অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে ঐদিন রাত সাড়ে ১০টার সময় ছবি ও শর্তনামা নিয়ে স্ব স্ব অভিভাবকের কাছে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।
উক্ত তিন যুবককে মারধরে জড়িতদের মধ্যে মো. তারেক ঘাগড়া এলাকায় ডিজিএফআইয়ের স্টাফ হিসেবে দায়িত্বরত বলে জানা গেছে। তিনি এলাকায় বেশ পরিচিত। তার বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন জনকে অহেতুক হয়রানিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে জানাজানি হওয়ায় এলাকার অভিভাবকদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তবে এলাকার অনেকে এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের সোচ্চার হ্ওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন।