বিলাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় তিন জন নিহতের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক।। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাইজাম পাড়া নামক এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় তিন জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা সবাই ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এবং নিহতদের মধ্যে বাবা-ছেলেও রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

পুলিশ ঘটনার ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে না পারলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ ঘটনার খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয়রা এ ঘটনার জন্য কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ বা কুকি চিন পার্টিকে দায়ি করছে।

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ’র এর নামে পরিচালিত ফেসবুকে পেজ থেকেও ঘটনার কথা স্বীকার করে গতকাল একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। এতে অবশ্য ‘জেএসএস-এর সশস্ত্র গ্রুপ জেএলএ’র ক্যাম্পে হামলার কথা বলা হয়েছে। 

কেএনএফ’র ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ‘কেএনএফের স্পেশ্যাল কমান্ডো ফোর্স হেড-হান্টার টিম সন্ত্রাসী জেএসএসের সশস্ত্র বাহিনী জেএলএর জাইজাম বেসমেন্ট ক্যাম্পে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে জেএলএ বাহিনীর তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। তবে আহত অবস্থায় ট্রেইনিসহ অন্যরা সবাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।’

অপরদিকে, জেএসএস নেতা ক্যাবামং মারমা আজ তার ফেসবুকে (ফেসবুক আইডি Kyawba Marma) এক স্ট্যাটাসে ঘটনার তথ্য জানিয়ে বলেছেন, “গতকাল সন্ধ্যায় কুকিরা নিরীহ পাড়াবাসী ত্রিপুরাদের উপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত এবং নারী শিশুসহ ৪-৫ জন আহত হয়েছে।”  

স্থানীয় সূত্র মতে, গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুন ২০২২) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সশস্ত্র অবস্থায় একদল সন্ত্রাসী সাইজাম পাড়ায় এসে এলাপাতাড়ি গুলি করলে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যায়। আরো অনেকে আহত হয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা (৫৮), পিতা- বীজলা ত্রিপুরা ও চিতারাং ত্রিপুরা (৬৫), পিতা সুরেন্দ্র ত্রিপুরা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তবে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে শোনার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে কি ঘটনা ঘটেছে এবং কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন কিছুই নিশ্চিত করতে পারেনি।

এ বিষয়ে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি আমরাও শুনেছি। তবে দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। তাই আমরা এখনো নিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না।’

বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, ‌‘বড়থলির ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানানোর পর আমি বিলাইছড়ি থানাকে জানিয়েছি। এলাকাটি এতই দুর্গম যে সেখানে বিলাইছড়ি থেকে তিনদিন, পার্শ্ববর্তী রুমা উপজেলা থেকে যেতেও দুদিন সময় লাগে। পুরো বিষয়টি রুমা জোনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *