নিজস্ব প্রতিনিধি।। বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নে একটি বৌদ্ধ বিহারের জায়গা বেদখল করে সেখানে নতুন সেনাক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর ২০২২) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বান্দরবান সদর সেনাজোনের একদল সেনা সদস্য ২০ জন বাঙালি শ্রমিক নিয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে কুহালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের থোয়াইগ্য পাড়ায় যায়। এরপর সেনা সদস্যরা শ্রমিকদের সাথে নিয়ে ওই পাড়ার বৌদ্ধ বিহারের আশে-পাশে ঝোঁপ-ঝাড় পরিষ্কার করে ক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করে।
এই খবর পেয়ে এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বিহারের অধ্যক্ষ ও এলাকাবাসী মিলে সেনাবাহিনীর এই অন্যায় কাজের প্রতিবাদ জানান এবং সেখানে ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদান করেন। এতে বিহারের অধ্যক্ষ ও এলাকাবাসীর সাথে সেনা সদস্যদের বাকবিতন্ডা হলে সেনা সদস্যরা ‘উপরের নির্দেশ’ থাকার কথা জানায়।
এর মধ্যে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অপর একটি সেনাদল নিয়ে বান্দরবান সদর জোনের জনৈক ক্যাপ্টেন ঘটনাস্থলে আসেন। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে ঘটনার বিস্তারিত জানানোর পরও সেনাবাহিনী সেখানে ক্যাম্প স্থাপনে অনড় থাকে।
এসময় এলাকাবাসী ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে সেনা সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা যদি এখানে ক্যাম্প বসাতে চান, তাহলে আমাদের বুকে গুলি চালিয়ে ক্যাম্প বসাতে হবে।’ এসময় সেনা জোনের ক্যাপ্টেন এলাকাবাসীকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘আমরা এখানে থাকবো। আপনারা যা করার করেন।’
বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে, আগামী ৫ দিন তারা (সেনাদলটি) এই বৌদ্ধ বিহারের জায়গায় থাকা কথা জানিয়ে সন্ধ্যা ৫:৩০ টার দিকে সেনা সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। এসময় সেনারা এলাকাবাসীর দুটি মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।